ভারতে ৫০ কোটি মানুষ মাঠেঘাটে-খোলা স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করে!
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
ভারতের অনেক রাজ্যে এখনও শৌচাগার সুবিধা নেই। ইউনিসেফের তথ্যমতে, ভারতের অন্তত ৫০ কোটি মানুষ মাঠেঘাটে বা খোলা স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করে। প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী ৮৯ শতাংশ ভারতীয় খোলা স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করতে পছন্দ করে। কারণ তারা চায় না তাদের বাড়ির কাছাকাছি স্থানে শৌচাগার থাকুক।
হানিফা সংবাদমাধ্যমকে বলে, নার্সারি থেকে আমি আমার ক্লাসে সবচেয়ে ভালো ফল করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছি। আমি এখন দ্বিতীয় অবস্থানে।
কিন্তু তিনি শুধু বলেই যাচ্ছেন যে, তিনি টয়লেট বানাবেন। এটি একরকম প্রতারণা। সুতরাং তাকে আটক করুন।
হানিফা জানায়, বাইরে খোলা স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করতে তার অনেক লজ্জা লাগে। যখন মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, তখন খুব খারাপ লাগে।
এ ছাড়া খোলা স্থানে পয়ঃনিষ্কাশনের ক্ষতি সম্পর্কে স্কুলে জানার পর সে এ বিষয়ে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে।
হানিফার অনুরোধ, যদি তার বাবাকে আটক করা না হয়, তা হলে পুলিশ যেন অন্তত তার কাছ থেকে দিনক্ষণ লেখা মুচলেকা নিয়ে রাখে যে, কবে তিনি বাড়িতে শৌচাগার বানিয়ে দেবেন।
হানিফার বাবা এহসানুল্লাহ জানান, তিনি আসলে শৌচাগারটি বানানোর কাজ শুরু করেছেন, কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে সেটির কাজ শেষ করতে পারেননি। কারণ এখন তিনি কর্মহীন। আরও কিছুটা সময় দেয়ার কথা বললে তার বাবার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ অফিসার ভালারমাথি বিবিসি তামিলকে বলেন, ব্যাগভর্তি করে ট্রফি আর মেধার অনেক সার্টিফিকেট নিয়ে সে থানায় এসে সেগুলো টেবিলে সাজিয়ে রাখতে শুরু করে।
এর পর সে আমাদের জিজ্ঞেস করে, তোমরা কি আমাকে একটি টয়লেট (শৌচাগার) দিতে পারবে? পরে হানিফার বাবাকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু কি কারণে তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, সেটি জেনে তিনি হতবাক হয়ে যান।
হানিফার এই চেষ্টা পুলিশ কর্মকর্তাদের সহানুভূতি পেয়েছে। তার এ কর্মকাণ্ডে জেলা কর্মকর্তাদের টনক নড়েছে। এখন তারা হানিফা ও তার প্রতিবেশীদের জন্য পাঁচ শতাধিক শৌচাগার বানানোর জন্য অর্থসংগ্রহ শুরু করেছেন।
সিটি কমিশনার এস পার্থসারথি বলেন, হানিফার অভিযোগটি দেখে আমরা খুবই খুশি হয়েছি। ক্লিন ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইনে স্থানীয় মুখ হিসেবে তিনি হানিফার ছবি অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছেন।