ভাষা আন্দোলনের বহুমুখী বিজয়
ভাষা আন্দোলনের বহুমুখী বিজয়
সিডনীর কথকথা-৪
রণেশ মৈত্র (সিডনী থেকে)
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ।
সেই ১৯৪৮ সালের কথা। মাত্র এক বছর আগে সৃষ্টি হয়েছিল পাকিস্থান নামক রাষ্ট্র সাম্প্রদায়িকতার ভয়াবহ উত্থানের পটভূমিতে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভারতবর্ষকে দুই/তিন খন্ডে বিভক্ত করে। যে ভয়ংকর রকমের উগ্র সাম্প্রদায়িক আবহ ঐ পাকিস্থান আন্দোলনের কারণে সৃষ্টি হয়েছিল তার রেশ বহুলাংশে দুর্বল হয়ে আসে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই। ইল্লেখ্য, ১৪ আগষ্ট পাকিস্থানের অভ্যূদয় ঘটে আর বাংলা ভাষাকে পাকিস্থানের অন্যতম রাষ্ট্র ভাষার মর্য্যাদায় আসীন করার দাবীতে গণ-আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে ১৯৪৮ সালের মার্চে। এই আন্দোলন সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্তের মূলে প্রচন্ড আঘাত হানে। আমার কাছে মনে হয়, এটি একটি আশ্চার্য্যজনক এবং বিশাল তাৎপর্য্যবহ ঘটনা।
আশ্চর্য্যজনক ঘটনা বলছি এ কারণে যে মুসলিম লীগ ও তার নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ অবিভক্ত ভারতবর্ষে সমগ্র ভারত জুড়ে মুসলিম সমাজের মধ্যে মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র “পাকিস্থান” নামে গঠন করে হিন্দুদের অত্যচারের হাত থেকে বাঁচার দাওয়াই এমনভাবেই মগজে ঢুকিয়ে দিতে পেরেছিল যে একযোগে বাংলার মুসলিম সমাজ পাকিস্থানের পক্ষে ১৯৪৬ সালে ভোটও দিয়েছিলেন। তার ফলেই পাকিস্থান সৃষ্টি সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু ১৯৪৭ এর আগষ্ট থেকে মার্চ, ১৯৪৮ এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সুরু হতে মাত্র ৬/৭ মাস সময় লেগেছিল পাকিস্থান সৃষ্টির পর। হিন্দু মুসলিম তরুণ-তরুণীরা মিলিতভঅবে এই আন্দোলন সংগঠিত করেন তাতে শরীক হন। এটি সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিত্ত্বের (যার ভিত্তিতে পাকিস্থান সৃষ্টি হয়েছিল গালে প্রথম চপেটাঘাত-ইসলামী জোল কবলিত পাকিস্থানে তখনও তা ছিল কল্পনাতীত।
তবে তথকথিত ইসলামপন্থীরাও বসে থাকে নি। তারা লাঠি-ফালা-সড়কি প্রভৃতি নিয়ে যেখানে পেরেছে – “আল্লাহ-হু আকবর” ধ্বনি সহকারে মিছিল আক্রমণ করেছে পুলিশ তাতে বাধা না দিয়ে বরং সহযোগিতা করেছে। তারা আওয়াজ তুলেছে-“বাংলা ভাষা হিন্দুদের ভাষা, ইসলাম বিরোীধ ভাষা,”
“পাকিস্থান – বিরোধী ভাষা”। এতে অবশ্য ফল হয়েছে উল্টোটা। আন্দোলনকারীরা ভাষা আন্দোলনকে অধিকতর বেগবান করে তোলার ব্যাপারে কঠোরভাবে প্রত্যয়ী হয়ে “রাষ্টধভাষা সংগ্রাম পরিষদ” দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহে গড়ে তোলার কর্মসূচী নিয়ে জেলায় জেলায় থানায় থানায় ছড়িয়ে পড়েছেন এবং সংগঠন গড়ে তুলেছেন।
আন্দোলন জীইয়ে রাখার তাগিদে প্রতি বছর ১১ মার্চ “রাষ্টধভাষা দিবস” পালনের কর্মসূচীও ঘোষণা করেছেন। ঐ কর্মসূচী পালন ব্যাপকভাবে সর্বত্র করার জন্য জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছেন ভাষা আন্দোলনের যৌ৩িকতা বিশ্লেষণ করে অজস্র লিফলেট প্রকাশ ও বিলি করেছেন গোপনে। লিফলেট ছাপাতেও হয়েছে গোপনে – প্রেস থেকে আনতে হতো গোপনে-বিলিও করতে হতো গোপনে। মানুষ অবশ্য আগ্রহের সাথেই পড়তেন গোপনীয়তা বজায় রেখে – পড়ার পর তা লুকিয়ে রাখতেন বা পুড়িয়ে ফেলতেন।
অর্থ সংগ্রহের জন্য আমরা অনেকগুলি কৌটা হাতে নিয়ে কখনও বা কাপড় টান টান করে ধরে হাটে বাজারে অর্থ সাহায্য তুলতাম-খুব কম সংখ্যক লোক বাদে সবাই সাধ্যমত পয়সা কড়ি দিতেন। তরুণীরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে মহিলাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন কেউ কেউ হাতের বা গলার সোনার গহনা পর্যন্ত খুলে আগ্রহ সাথে তা দিয়ে দিতেন।
এভাবে দেখতে দেখতে যেন তরুণেরা এক/দুই বছর আগেও “লড়কে লেঙ্গে পাকিস্থান” ধ্বনিতে ইসলামী রাষ্টেধর দাবীতে দিক-দিগন্ত মুখরিত করে তুলতেন বাংরার সকল অঞ্চল – তাঁরাই হয়ে উঠলেন বাংলা ভাষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও বাঙালীত্বের পূজারী। অভিভাবকেরাও ধীরে ধীরে পাকিস্থানের মোহ থেকে মুক্ত হয়ে ভাষা আন্দোলনের দৃঢ় সমর্থক ও পরিণতিতে মুসলীমলীগের ঘোর বিরোধী হয়ে উঠতে লাগলেন।
এগুলির ফলে একটি আদর্শবাদের নতুন করে উত্থান ঘটতে সুরু করলো বাংলাদেশে পাকিস্থান আমলের সেই প্রথম যুগ শেষ হতে না হতেই। সেটি হলো অসাম্প্রদায়িকতা। যে হিন্দু ও মুসলিম তরুণ- তরুণীরা সাম্প্রদায়িকতা দাঙ্গা দেশ বিভাগ প্রভৃতির মাধ্যমে মাত্র কিছুকাল আগে পরস্পর বিভক্ত হয়ে পড়েছিল তা-ই নয় তারা যেন বহুলাংশে পরস্পরের অঘোষিত শত্রুতে পরিণত হয়েছিলো তাঁদের মনে পারস্পারিক সন্দেহ ও অবিশ্বাস দানা বেঁধে উঠেছিল। সেই হিন্দু-মুসলিম তরুণ-তরুণীরাই মাত্র কিছু সময়ের ব্যবধানে আবার একে অপরের হাত ধরে মাতৃভাষার মর্য্যাদা রক্ষা আন্দোলনে জীবন মরণ পণ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
বাহান্নোর ভাষা আন্দোলনের বিশালত্ব ও গভীরতা আজ কল্পনায়েত আনাও দু:সাধ্য। সেদিনকার ঘোর সাম্প্রদায়িক ও স্বৈরতন্ত্রী বাঙালি বিরোধী সরকারের সীমাহীন অপপ্রচার ও নিষ্ঠুর দমন নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বাঙালি তরুণ সমাজের নেতৃত্বে গোটা পূর্ববাংরা ঐক্যবদ্ধভাবে ফুঁসে উঠেছিল অকাতরে বুকের রক্ত ঢাকা কালো পিচাঢালা রাস্তায় ঢেলে দিতে সক্ষম হয়েছিল-ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক বিজয়ের ভিত্তি ভূমি রচনা করতেও সাফল্যের সাথে সক্ষম হয়েছিল।
যে অসাম্প্রদায়িকতার বিকাশ ধীরে ধীরে ১৯৪৮ থেকে ঘটতে সুরু করেছিল ভাষা আন্দোলনের উন্মেষকাল থেকে তা দিব্যি দিনে দিনে বিকশিত হতে হতে ১৯৫২ তে পরিপক্কতা অর্জন করে দ্বিজাতিতত্ত্বের বিষাক্ত আদর্শকে পরিত্যাগ করে ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের লক্ষ্যে দৃঢ় পদক্ষেপে যাত্র সুরু করে। যেন স্বাধীন বাংলাদেশের ধারণার ভ্রুনও বাহান্নর আন্দোলনের গর্ভে লুকিয়ে লুকিয়েই চুপি চুপি বেড়ে উঠতে সুরু করে।
পাকিস্থানের শাসকগোষ্ঠিও তা বুঝেঝিল ঠিকই। তাই তারা একদিকে যেমন দমন রীতির ষ্টীমরোলার চালিয়ে যেতে থাকলো তেমনই আবার তারা জঘন্য অপপ্রচারের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সংশয় সৃষ্টির চেষ্টায়ও মেতে উঠলো। শাসকগোষ্ঠির বশংবদ সংবাদপত্র, বেতার প্রভৃতির মাধ্যমে ঘন্টায় ঘন্টায় প্রচার করা হতে থাকলো “ইসলাম-বিরোধীরা ঢাকায় তৎপর হয়ে উঠেছে” “পাকিস্থান ধ্বংস করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে, ভারতের দালালেরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে “হিন্দুরা তাদের ভাষা বাংলাকে রাষ্টধভাষা করার দাবী উত্থাপন করেছে” -“বাংলা মুসলমানের ভাষা নয়-বাংলাভাষা ইসলাম বিরোধী প্রভৃতি। নজির হিসাবে তারা তুলে ধরতো কংগ্রেস নেতা ধীরেন দত্ত পাকিস্থানের জাতীয় পরিষদের করাচী অধিবেশনে ১৯৪৮ সালে বাংলাকে পাকিস্থানের অন্যতম রাষ্ট্রীয় ভাষা ঘোষণা করার দাবী উত্থাপনের ধৃষ্টতা দেখিয়েছিলেন ………ইত্যাদি।
জবাবে ঢাকার ছাত্র সমাজ ধীরেন্দধনাথকে ঢাকা বিশ্ববিদ ̈ালয়ে সম্বর্ধিত ও মালা ভূষিত করলো। বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের মিছিলে, সরকারী প্রচারণায় বলা হলো, “পশ্চিমবাংলা থেকে ধুতি পরা হিন্দুদেরকে ঢাকায় একুশে ফেবধয়ারীর মিছিলে দেখা গেছে” – যা ছিল নির্জলা মিথ্যা এবং সে কারণেই ধরা পড়ার ভয়ে তারা ঐ মিছিলের ছবি ছাপতে গোপন নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে। কিন্তু মানুষ বিভ্রান্ত হন নি। এমন কি ঐ ধরণের নোংরা অপপ্রচার মানুষের মনে সামান্যতম সংশয়েরও সৃষ্টি করে নি। বরং ভাষা আন্দোলন দিনে দিনে ব্যাপকতা অর্জন করতে থেকেছে গ্রাম থেকে
গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়তেও শুরু করেছে। বহু ইউনিয়নে পর্য্যন্ত “ইউনিয়ন সর্বদলীয় রাষ্টধভাষা সংগ্রাম পরিষদ” নামে সংগঠনও গড়ে উঠেছে।
এবারে দেখা যাক, এত ব্যাপকতা যে আন্দোলন বাহান্নতে অর্জন করেছিল-তার তাৎপর্য্য এবং প্রভাব বাঙালির জীবনযাত্রায় তার শিক্ষা-দীক্ষায়, তার সংস্কৃতি-চেতনায় ও চর্চায় কতটা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছিল। এ বিষয়ে বলতে নিয়ে বলে রাখতে চাই, ১৯৪৮ এর ভাষা আন্দোলনে আমি ছিলাম তার মিছিলে একজহন অংশগ্রহনকারী মাত্র কিন্ত বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে পাবনার সাংস্কৃতিক সংগঠন শিখাসংঘের পক্ষ থেকে যেমন অংশগ্রহনকারী – তেমনই একজন সচেতন সংগঠকও। তাই বয়োবৃদ্ধির সাথে সাথে চেতনা বিকাশের সাথে সাথে ঐ অগ্নিঝরা দিনগুলির প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা মিলিয়ে যথেষ্ট দৃড়তা নিয়েই সেদিনের কথাগুলি লিখছি।
ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য্য অনেক। কিন্তু প্রধান প্রধান তাৎপর্য্য হলো: এক. দমননীতি ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এ আন্দোলন ঠেকাতে গিয়ে সমগ্র পূর্ব বাংলায় মুসলিম লীগও সাম্প্রদায়িক দলগুলি জন-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে; দুই. জনগণের মনে সরকার বদলের ক্ষেত্রে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী জনপ্রিয়তা লাভ করে; তিন. মুসলিম লীগ ও সাম্পধদায়িক দলগুলি জনমতের ভয়ে ভীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং প্রকাশ্য সভা- সমিতি অনুষ্ঠান লক্ষ্যণীয়ভাবে কমিয়ে ফেলে।
এবারে দেখা যাক ভাষা আন্দোলন বাঙালী জীবনে নানা ক্ষেত্রে কেমন প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছিল- এক. সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা প্রবর্তন প্রচলনের দাবী জোরদার হয়ে ওঠে; দুই. দোকানপাটের সাইনবোর্ড বাংলায় লিখতে ছাত্র নেতারা ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানালে তাঁরা তাতে স্বত:ষ্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়ে ইংরেজী-আরবী বদলে সাইনবোর্ডগুলি বাংলায় লিখিয়ে নেন; তিন. মাতৃভাষার মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষা প্রচলনের দাবী সর্বজনীন দাবীতে পরিণত হয়; চার. পর্দর অন্তরালে লুকিয়ে পড়া বাঙালি সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় – তার সর্বাঙ্গীন বিকাশ ও বিস্তার দ্রুততর হয়; পাঁচ. ধর্মের নামে রাজনৈতিক দল গঠন বন্ধ হয়ে যায় এবং রাজনৈতিক, ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলি স্বমান্বয়ে তাদের নাম থেকে “মুসলিম” শব্দ পরিত্যাগ করে ধর্মনিরপেক্ষাতকে তাদের প্রধান লক্ষ্য বলে ঘোষণা করতে শুরু করে; ছয়. সঙ্গীত, নৃত্য, নাটক অনুষ্টানে জড়তা কেটে উঠতে থাকে এবং নতুন নতুন এ জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের জন্ম হতে থাকে।
সাত. সংবাদপত্রগুলি (নতুন করে আত্ম প্রকাশের ক্ষেত্রে) বাংরা নামে প্রকাশিত হতে সুরু করে; আট. নাট্যভিনয়ে নারীর ভূমিকায় মেয়েরা অভিনয় করতে শুরু করে (পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর যা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল; নারী মুক্তি আন্দোলনও নতুন গতি পেতে সুরু করে; নয়. একুশে ফেব্রুয়ারী ব্যাপকভাবে উদযাপিত হতে শুরু করে এবং সর্বত্র শিক্ষাঙ্গনে শহীদ মিনার স্বত:স্ফুর্তভাবে নির্মিত হতে সুরু করে; দশ. সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধ হয়ে যায়, হিন্দুদের দেশত্যাগের মাত্রা লক্ষণীয়ভবে কমে আসে; ১৯৫৪ তে এসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তাতে মুসলিম লীগের ভরাডুবি হয়-যুক্তফ্রন্টের তাৎপর্য্যপূর্ণ বিজয় সূচিত হয় এবং শেরে বাংরা এ.কে. ফজলুল হকের নেতৃত্বে পূর্ববাংলায় যুক্তফ্রন্টে মন্ত্রীসভা গঠন হয়।
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয়নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্যকোনও ধরনের কোনও দায় নেবেনা।
কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।