ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হলেন ময়মনসিংহ মেডিকেলের ছাত্র লোটে শেরিং
আন্তর্জাতিক ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
অবশেষে, চূড়ান্তভাবে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে যাওয়া ডাক্তার লোটে শেরিং। তিনি এমবিবিএস ২৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। লোটে শেরিং এমবিবিএস পাস করে বাংলাদেশেই জেনারেল সার্জারি বিষয়ে এফসিপিএস করেন। দেশে ফিরে ২০১৩ সালে তিনি সিভিল সার্ভিস থেকে অব্যাহতি নিয়ে রাজনীতিতে যোগদান করেন।
ভুটানের ন্যাশনাল এসেম্বলির ৪৭টি আসনের মধ্যে তার দল ড্রুক নাইএমরাপ সোগপা (ডিএনটি) ৩০টি আসনে জয়লাভ করে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায় দেশটির নির্বাচক কমিশন এ ফলাফল ঘোষণা করে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভুটানে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে লোটে শেরিংয়ের ডিএনটি দল জয়লাভ করে চমক সৃষ্টি করে। বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে নির্বাচনে হেরে ছিটকে পড়েন। ডা. লোটে শেরিং প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন কি না তার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত। ভুটানে দুই দফায় ভোট হয়ে থাকে। প্রথম দফায় ভোটাররা রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট দেয়। দ্বিতীয় দফায় ডা. লোটে শেরিং মুখোমুখি হন ডিপিটি দলের ফেনসাম সগবার।
ভুটানে যে দুই দল প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান পায়, তারা পার্লামেন্টের ৪৭টি আসনে প্রার্থী দেয় এবং তখন দ্বিতীয় দফা ভোট হয়। এবারের প্রথম দফার ভোটে চারটি দল অংশ নেয়। প্রথম দফার মৌলিক নির্বাচনে লোটে শেরিং বিস্ময়কর সাফল্য পান এবং দ্বিতীয় দফাতেও ৪৭ আসনের মধ্যে ৩০ আসন পেয়েছে শেরিং-এর দল।
নির্বাচনে জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডা. লোটে শেরিং বলেন, নির্বাচনে জয়ের জন্য জনগণ ও গণমাধ্যম বিশেষভাবে অবদান রেখেছে। এখন আমি ৪৬ জন সংসদ সদস্যকে নিয়েই দেশের উন্নয়ন করে যাব। গণমাধ্যমের বিশেষ ভূমিকার কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়েছে। তারা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
রাজনীতিতে আসার আগে লোটে শেরিং হাসপাতালে কনসালট্যান্ট সার্জন এবং ইউরোলজিস্ট কনসালট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে ২০১৮ সালের শুরুতেই দলকে শীর্ষপর্যায়ে নিয়ে আসেন তিনি।
ডা. লোটে শেরিং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এমন খবরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা ব্যাপক উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেছেন। ডিএনটি দলের সভাপতি ডা. লোটে শেরিং শুধু চিকিৎসকই নন। তিনি তার দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও জড়িত। তিনি ড্রুক গ্রিন পাওয়ার কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর।