নওগাঁর নিয়ামতপুরে ভূমিহীনদের গৃহ প্রদান বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরা
ভূপাল চন্দ্র রায়, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে নওগাঁর নিয়ামতপুরে ২০ জুন রবিবার উপজেলার ৭৫ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের বিষয়ে ১৯ জুন শনিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নিয়ামতপুর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের জমি ও গৃহ প্রদান ২য় পর্যায়ে ইতিমধ্যেই ৭৫ টি গৃহ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। যা ২০ জুন রবিবার মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে উদ্ধোধন করবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরার সভাপতিত্বে প্রেস ব্রিফিং-এ বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিলুফা সরকার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার স্বরূপ নওগাঁর নিয়াতমপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মুজিববর্ষ উপলক্ষে দ্ইু পর্বে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মোট ১শ ৪৬টি টিন সেড পাকা ঘর।
তিনি আরো বলেন, ১ম পর্বে প্রাপ্ত ৭১টি ঘর ইতোমধ্যে ঘরগ্রহীতাদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। ২য় পর্বে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর উপহার হিসেবে পাচ্ছেন আরও ৭৫টি ভূমিহীন পরিবার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ভূমি অফিসের সহযোগিতায় প্রকৃত ভূমিহীনদের চিহ্নিত করে কাজের মান ঠিক রেখে এসব ঘর নির্মিত হচ্ছে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে নিয়ামতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে উপহার হিসেবে দ্বিতীয় দফায় প্রাপ্ত ৭৫টি ঘর আগামী ২০ জুন উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।
৭৫টি ঘরের মধ্যে হাজিনগর ইউনিয়নে ২০টি, চন্দননগর ইউনিয়নে ৬টি, নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়নে ২৬টি, রসুলপুর ইউনিয়নে ১০টি, পাড়ইল ইউনিয়নে ৪টি, শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নে ৪টি, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ৫টি।
উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সরকারি খাসজমিতে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে এসব সরকারি ঘর। যাদের থাকার জমি ও ঘর নেই তাদের পুনর্বাসনের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট বারান্দাসহ সেমিপাকা ঘর, রান্নাঘর ও বসত ঘরের সঙ্গে থাকছে টয়লেটও। ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে গৃহহীনদের মধ্যে এ গুলো ঘর হস্তান্তর করা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরা।