মঠবাড়িয়ার মেধাবী ছাত্র অাসাদুজ্জামান রনিকে কুমিরে অাক্রমনের দুর্লভ ভিডিও
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বরগুনার তালতলীর সোনাকাটা টেংরাগিরি ইকোপার্কে মঠবাড়িয়ার মেধাবী ছাত্র অাসাদুজ্জামান রনি (২৮) কুমিরের অাক্রমণে নিহত হয়।
উল্লেখ্য, গত (২৫ মার্চ) শনিবার দুপুরে বরগুনার তালতলীর সোনাকাটা টেংরাগিরি ইকোপার্কে কুমিরের অাক্রমণে মঠবাড়িয়ার মেধাবী ছাত্র অাসাদুজ্জামান রনি’র মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। নিহত রনি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সবুজ নগর এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী গোলাম মোস্তফার ছেলে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, শনিবার বেলা পৌনে একটার দিকে আসাদুজ্জামান রনি তাঁর খালাতো ভাই আল আমিন, বন্ধু আবু সালেহ ও বন্ধুর স্ত্রী লাইজু বেগমসহ পাঁচজন ইকোপার্কে ঘুরতে আসেন। তাঁরা কুমির দেখার জন্য প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরে কাছে যান। কিন্তু পুকুরে কুমির না দেখে আসাদুজ্জামান রনিসহ তিনজন কুমির প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরে নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে আসাদুজ্জামান রনি পুকুরের পানিতে হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকলে পুকুরের তীরে ঝোপের মধ্যে থাকা একটি কুমির তাঁর হাত কামড়ে ধরে। এ সময় খালাতো ভাই ও বন্ধু আসাদুজ্জামান রনিকে অপর হাত ধরে কুমিরের মুখ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। কুমির আসাদুজ্জামান রনিকে নিয়ে পুকুরের মধ্যে চলে যায়। পরে অপর দুজন দ্রুত বেষ্টনীর বাইরে এসে আসাদুজ্জামান রনিকে বাঁচাতে চিৎকার শুরু করলে সেখানে বন বিভাগের কর্মী ও পর্যটকেরা ভিড় করেন। তবে তাঁদের কাছে উদ্ধার করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাৎক্ষণিক আসাদুজ্জামান রনিকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, কুমিরটি আসাদুজ্জামান রনিকে মুখে পুড়ে পুকুরের চারদিকে ঘুরতে থাকে। আধঘণ্টা পরে কুমির তাঁকে ছেড়ে দেয়। ততক্ষণে রনি’র মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ, কোস্ট গার্ড সদস্যরা দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল সাড়ে তিনটায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রনির মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করে।
https://youtu.be/uxpfOd1T5Dw