মরণোত্তর চক্ষু দান করলেন বামনা আলোকিত সমাজের সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান
মোঃ রহমত উল্লাহ রাব্বী, বামনা-বরগুনা, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
“অন্ধজনে দেহো আলো, মৃতজনে দেহো প্রাণ” কবিগুরুর এই ভাবনার স্বার্থক প্রতিফলন দেখালো বামনা আলোকিত সমাজের সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান। গতকাল তিনি অনলাইনে রেজিস্টার্ড এর মাধ্যমে মরণোত্তর চক্ষুদান করেন। তিনি দক্ষিণবঙ্গের বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে সিটি ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ইন্জিনিয়ার এ অধ্যয়নরত।
তিনি সমাজের উন্নয়নে নিবেদিত প্রান। করোনাকালে বামনা উপজেলাতে অসহায় দুস্হদের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেন। মুমূর্ষু রোগীদের রক্তের প্রয়োজনে রাত-বিরাতে ছুটে বেড়ান। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে যুক্ত আছেন; সভাপতি – বামনা আলোকিত সমাজ, সেক্রেটারি – লিও ক্লাব অব ঢাকা মেট্রোপলিটন হেরিটেজ, নিঃস্বার্থ সংগঠন – সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সভাপতি – বরিশাল শাখা সেভ দ্য টুমরো ফাউন্ডেশন, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক- সম্মিলিত সাংবাদিক পরিষদ।
গতকাল মরণোত্তর দান করেছেন আবদুল্লাহ আল নোমান। আই ডোনেশন বিডিতে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে মরণোত্তর চোখদান করেছেন তিনি। আই ডোনেশন বিডির সহযোগী হিসেবে আছে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি।
আই ডোনেশন বিডি থেকে শামীমকে পাঠানো রেজিস্ট্রেশন কার্ডে লেখা, ‘আমি আবদুল্লাহ আল নোমান। সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির একজন তালিকাভুক্ত চক্ষুদাতা। আমার মৃত্যুর পরই সন্ধানীকে জানিয়ে দিন এবং চক্ষু সংগ্রহে সন্ধানীকে সহযোগিতা করুন।’
মরণোত্তর চোখ দান করা প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমি চাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিজেকে মানবতার সেবায় নিয়োজিত রাখতে। এবং আমার মৃত্যুর পরে যদি আমার শরীরের কোন অংঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজে আসে এবং ইসলামে যদি জায়েজ থাকে ইনশাআল্লাহ আমি সেগুলো দান করে যাবো।