মাগনা পৃথিবীর মূল্য কত
মাগনা পৃথিবীর মূল্য কত
(গ্রাস একটি রোগের নাম)
-আওলাদ হোসেন
পৃথিবীতে হঠাৎই এসে দেখলাম এখানে জন্ম গ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করতে পয়সা লাগেনা আর সবই মাগনা। তারপর বর্গীরা যখন হামলা করে তখন বুঝতে পারলাম সবই মগের মুল্লুক না এবং লুটের মালও না। প্রতি বৎসর বন্যায় আমাদের দেশ ভেসে যেত। সোনালী আঁশ আর রুপালী ইলিশ ছিল সম্বল। হঠাৎ ইসি আগুন লাগাতে মনটা খারাপ হয়ে গেল এ যেন সূর্যের মধ্যে ভূত। কিছুদিন আগে ধান ক্ষেতে আগুন এবং চামড়া ফেলে দেয়া হল মাগনা বলে। তাহলে আগুন, পানি, বাতাস সবইতো মাগনা। দেশের মানুষের জীবনও মাগনা হয়ে যাচ্ছে। বর্ডারের কাছে গেলেই চোর সন্দেহে গুলি করা হয় মাগনা। কাশ্মীরিরা এখন মাগনা খাবার পায়। আমাদের দেশের সাধু সুজনরা এই মাগনা খাবারের জন্য লালায়িত। শুনেছি ব্রিটিশ আমলে টাকা দেয়া হতো কোন কারণ ছাড়াই। বোকা মানুষেরা সেই টাকা ধরত না। কিছু রাক্কসেরা বাপ দাদার ঠিকানা নেই, অথবা চাতুর্যতা অথবা ভবিষৎ সম্বন্ধে জ্ঞান নেই তারা বাঙালির হাসির গল্পের মত কি আদর। এখন নাকি ভোট দেয়ার দায়িত্ব সাধারণ মানুষের নেই। তারা নাকি অপাত্রে ঘি ঢালে। আর প্রশংসা এটাও মাগনা। পয়সা লাগে না। সুন্দরীদের এখন আর পয়সা দিয়ে বিয়ে দিতে হয় না। বাড়ীর কাছেই মাগনা মাস্তান পাওয়া যায়। এরই মধ্যে কত সুন্দরী যে কালো কুৎসিত পুরুষের ঘর করছে আর এখন মোবাইলে ভাবের আদান প্রদান করছে তাতো দেখতেই পাচ্ছেন। মাগনার কারণে আমাদের দেশের মানুষ সব চেয়ে সুখী। চা খেয়ে বলা হয় দাম পরে দেব অথবা লিখে রাখার জন্য। আগুন লাগার ব্যাপারটা আসলে রহস্যেই রয়ে গেল। তবে চাকরির ব্যাপারতো সহজে কেউ রেহাই পাবে বলে মনে হয় না, বাঘে ছুলে আঠারো ঘা। সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে বিরোধী দল। তারা এখন আন্দোলন করে না, কোন দাবী দাওয়া নেই, ক্রিকেটে হেরে গেলেও কেউ কিছু বলতে চায় না, হঠাৎ যদি সুযোগ পায়। বিরোধী দলের মর্যাদা এখন মাগনা। নীতিজ্ঞান বলতে কিছু নেই। স্বর্ণ পাচারে সুন্দরীরা জড়িত, তাদের অবস্থান অনেক উপরে, সকলেই সম্মান দেয়। আমাদের দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়, আমাদের দেশের কর্মকর্তারা বিদেশে যায় ট্রেনিং নেয়ার জন্য মাগনা কারণ কি যে ট্রেনিং নেয় তা ঘাটের কুলিও বলতে পারে। শুনেছি, পাসপোর্ট-ভিসা এখন মাগনা না তবে সহজ।
ফেনসিডিল, ইয়াবার রসদ মাগনা। বাজারে মাছ, মাংস পাওয়া যায় না যা পাওয়া যায় তা খায়না ফলে মাগনা। অতএব দেখা যাচ্ছে জীবনটা এখন কত সহজ ও মাগনা। আসলে স্রষ্টার ইচ্ছা ছিল পৃথিবীতে সব কিছুইনা মাগনা দেয়া হবে শর্ত শুধু আল্লাহর নাম নিতে হবে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের লোকেরা স্রষ্টার একমাত্র নির্দেশ পালন করে বলে বর্তমানে এক অদ্ভূত অবস্থার মধ্য দিয়ে সব কিছুই মাগনা পাচ্ছে, আর এ কারণেই মিয়ানমার মাগনা খাওয়ানোর জন্য তার দেশের লোক আমাদের দেশে অযথাই এসে পড়ছে, কোন দোষ করে নাই, এনজিও রা এখানে ভীড় করেছে, শুনেছি কিছু এনজিও কে তাড়ানো হচ্ছে, কারণ জানতে চাওয়া বা পাওয়া স্বাধীন দেশে সবই মাগনা পাওয়ার পরও বিদেশীদের প্রশংসা পত্রের প্রয়োজন হয় না মেনে নেয়া যায় না। একটু ছাড়তো দিতেই হবে। আর কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা ঘাট দালান কোঠা পাকা করণ Money is no problem এর মত । সবই চমকপ্রদ এবং মাগনা । এখন অপর একটি সহজলভ্য বিষয় হচ্ছে জনগণ কোটি টাকা খরচ করার পরও সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্থান হয় না। ক্লিনিক কোচিং সেন্টার ইত্যাদির রমরমা ব্যবসা। বলা হয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে হয় না বাড়ীতে বসেই তা পাওয়া যায় বিনা কষ্টে বিনা পরিশ্রমে। পুনরায় বলতে হচ্ছে স্রষ্টার ইচ্ছা ছিল সবই মাগনা দিবেন। এ জন্যে বৃক্ষের সবুজ সমাহার কোটি কোটি পাখার মত বাতাস দেয়ার ব্যবস্থা এবং পানি বর্ষণের জন্য আকাশ ছিদ্র করা হয়নি। একদিকে সাগর অপর দিকে পাহাড় মুর্খদের কান্ড জ্ঞান নেই। আল্লাহ সবই মাগনা দিয়েছেন। স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে মাগনা। ঝড় ঝঞ্ছা, ভূমিকম্প মাগনা। ইত্যাদি। এর বিপরীতে যা হচ্ছে সবই ডারউইনের সৃষ্টি। মানুষকে কিভাবে আল্লাহপাক বানালেন তা কেউ কল্পনাও করতে পারে না একমাত্র অশিক্ষিত বা মূর্খ ছাড়া। তারপরও নামাজ কেউ পড়তে চায় না। সত্যকে গোপন করে রাখা-মানুষের ধর্ম। কিন্তু মানুষ সৃষ্টিতে মানুষের অবদান কতটুকু আছে, এক বিন্দুও না। তবুও মানুষই মানুষের পীর সেজে বসে আছে বেহেশত নিয়ে দেবে নামাজ রোজা ছাড়াই শুধু পালের বড় গরুটা দিতে হবে, তথাস্ত, কি অপূর্ব যোগ সাজস বিদ্যা বেড়েছে ভন্ডামী কমেনি। রাসুল (সাঃ) গৃহে গৃহে দাওয়াত দিয়েছেন পয়সা লাগে নাই। এখন পয়সা ছাড়া কোন কাজই হয় না। ডাক্তারেরা চেষ্টা করে রোগ সারায় ঝাড় ফুঁক নেই, অস্ত্র চিকিৎসার উন্নতি হয়েছে, এনাটমি এর একটি। মানুষ সৃষ্টিতে স্রষ্টার যে হাত তা স্পষ্ট, কিন্তু পৃথিবী এলো কিভাবে, কোথা হতে, আয়ত্ত আছে কিনা, চন্দ্র সূর্য ঘুরে কেন ইত্যাদি। এটা ভাবতে গেলে প্রথমেই প্রথামত বৈরাগী সাজতে হবে। পৃথিবীর অবস্থান আর অদৃশ্য আল্লাহর অবস্থান কেউ কল্পনাও করতে পারে না। শত স্রষ্টাকে দেখা যাবে না, গায়েব আল্লাহর হুকুম যদি কেউ অস্বীকার করে সে শয়তানের দোসর এবং সে ক্ষমতা আল্লাহ তাকে দিয়েছেন। কারণ যে যে লাইনে সাধনা করে আল্লাহ তাকে তাই দেন। হিসাব হবে কেয়ামতে। সিনেমার কলাকুশলীরা এত সুন্দর করে পাট করে যে তা বাস্তবকেও হার মানায়। দেহের গঠণ নিয়ে চিন্তা করাকে কত জন মূল্য দেয়। অথচ জানার শেষ নেই। ভ্রুণ থেকে মানুষ, মানুষ থেকে ভ্রুণ। বড় হয়ে কে তা বিশ্বাস করে। কেউ না। বাপ-মা কেউ মানে না। মাথা থেকে পা পর্যন্ত সৃষ্টির যে ধারা জীবনে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এক বার এনাটমি বইটি সকলেরই পড়া উচিত। এতে প্রকৃত জ্ঞানী হওয়া যায় জীবনট স্বার্থক হয়। স্রষ্টাকে চেনা দরকার কিভাবে গলা-বাজী করে। প্রথমেই ব্রেইন এর কথা বলা হয় ।
তারও পূর্বে মন এর কোন ছবি নেই। তারপর মুখ, দাঁত, গলা, নাক, কান, হৃদপিন্ড, লিভার, ফুসফুস, পাকস্থলী, হজম প্রক্রিয়া, অন্ডোকোষ, ডিম্বাশয়, মল মুত্র ত্যাগ, যৌন ক্রিয়া প্রতিটি স্তরেই স্রষ্টার গুনগান করতে হয়। একটি অপরটির সম্পর্ক, কার্যক্রম, ব্লাড সার্কুলেশন, মনের গতি প্রকৃতি, ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় প্রভৃতি, Higher purposes of life একটি হোমিও সূত্র। এখানে মানুষ মানুষের প্রভূ সাজলো কোন যুক্তিতে ভন্ডামী ছাড়া, অর্থ আত্মসাৎ ছাড়া। সব ভাল যার শেষ ভাল। অন্ধকারে বিভিন্ন দল আমাদেরকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মাছতো জাল ছিড়ে বেরিয়ে যাবেই, গেছেও তাই, কিন্তু কোন পথে। পৃথিবীতে মুসলমানদের অবস্থান এখন কোন পর্যায়ে। আছে কি ভবিষৎ জানা কোন পথ ২ নম্বর সর্বত্র। পেঁয়াজের দাম বাড়লো কেন? বাড়তি টাকা কে দেয়? জাতির ভবিষৎ ছাত্ররা কোন পথে? আজ পর্যন্ত পত্র-পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, দেশের এখন গভর্ণর গরীবের সন্তান হয়ে যে উপহার জাতিকে দিয়েছেন তাতে আমরা কৃতার্থ. ২ Care taker যা করেছেন জাতি যদি বেঁচে থাকে তবে অবশ্যই কৃতজ্ঞ হবে। নদীতে পানি নাই এটা কার অবদান, ধানের দাম বাড়ছে, পাটের দাম বাড়াই আছে। গরীবরা চিরদিন গরীবই থাকে। বিদেশে গিয়ে টাকা কামাই করে , ৫ তলা-১০ তলা ভবন গড়ে সেখানে যেতেও সকালে প্রাণ হারায়, সামাজিক ও সাংসারিক ভাঙ্গন পত্রিকায় লেগেই আছে এবং রসিক জনেরা মূল ঘটনার পরিবর্তে নকল ঘটনা পড়েই সময় কাটায়। দৃষ্টি থাকে চুরির তালে। কিন্তু মূল ঘটনা চুরি হতে পারে না। ওটা গরীবের সংসারের ব্যাপার। মূল ঘটনা হচ্ছে চীন, ভারত, রাশিয়া, আমেরিকা কে কার প্রভূ কে কত ধনী, কার কত অস্ত্র আর বিপরীতে কে কত বড় মীরজাফর কে কত বড় কুলঙ্খির কে কত বড় নিজের দেশের ধ্বংসকারী বেনিয়া। মুসলমানেরা মাথা বিক্রী করতে পারে না, পরে জাতিভেদের প্রলয়ংকারী উদ্যোক্তারা বিভেদ বিপর্যয় টেনে আমার ওস্তাদ যারা। তারপর এক সময় একযোগে ঘুমিয়ে পড়ে ও আত্মত্যাগ করে। তবে Terms appoin led কথাটি আল্লাহর ধৈর্য ধারণ, নাকের বদলে নাক, কানের বদলে কান তবে ক্ষমা করে দেয়া উত্তম। আপনি কোনটি নেবেন, ইহকাল না পরকাল। সে হিসাবতো আলাদা । পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের উপযোগী করে। যা যা প্রয়োজন সবই দেয়া আছে। হঠাৎ ক্যাসিনোর আবির্ভাব হয়েছে। এখানেও কি পাতানো খেলা চলছে অর্থাৎ জাতিটা মদঘোর, মাতাল আর মাগীবাজীর অভয়ারণ্যে পরিণত হোক। পার্শ্ববর্তী দেশের দিকে তাকিযেও হুশ হয় না। আমরা যখন ধর্মনিরপেক্ষ তখন তারা জাতিয়তাবাদের প্রতিষ্ঠা লাভে সবই করছে। পরকালে মানুষের আকৃতি কি হবে, দুনিয়ার এনাটমি যে থাকবে না এটা বলাই বাহুল্য অসুখ থাকবে না। হয় দোজখে আগুনে জ্বলবে অথবা বেহেশতে যা ইচ্ছা তাই পাবে। ডাক্তারের প্রয়োজন হবে না। কলকব্জা থাকবে না । আগুন, পানি, বাতাস এর উপর জীবন নির্ভর করবে না। তা কি সম্ভব। পৃথিবীতে আমরা দেখি পরকালেও আমরা দেখবো, প্রতিটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ঠিক তাই প্রমাণ করে। এবার আমার গ্রাস থিওরিপিক শক্তি অপর শক্তিতে গ্রাস করে। এক রাষ্ট্র অপর রাষ্ট্রকে গ্রাস করে। এক জাতি অপর জাতিকে গ্রাস করে। এক মানুষ অপর মানুষকে গ্রাস করে। শুনেছি এক গ্রহ অপর গ্রহকে গ্রাস করে, এক প্রাণী অপর প্রাণীকে গ্রাস করে বেঁচে থাকে, অন্যথায় মরে যায়। বিজ্ঞানীরা এই তত্ত্বকে নিয়ে গবেষণা করেন কিনা জানিনা কিন্তু গ্রাস তত্ত্ব অতি অমানবিক মনে হতে পারে কিন্তু মানুষের বেঁচে থাকার জন্য এটা অপরিহার্য। দ্বিতীয়ত তারপরও মানুষকে সকল প্রাণীকেই মৃত্যুবরণ করতে হয়। (কুল্লু নাফসিন যায়েকাতুল মাউত)। সেই সংগে গ্রাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে জ্ঞান, বুদ্ধি, দূরদর্শিতা না থেকে যদি লোভ, অন্যায়, অবিচার ইত্যাদি বাসা বাধে, গুরুজনদের কথাকে অবজ্ঞা করা হয়, নিজের পায়ে নিজে কুঁড়াল মারে তাহলে গ্রাসের রোগ থেকে রক্ষা নেই। দিনে দিনে তা বড় হয়ে গোটা দেশ, জাতি, দেহসহ সকল কিছুই গ্রাসে পরিণত হবে এটাই আল্লাহর খেলা। মুসলিম জাতি গ্রাসের সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ উপাদানে পরিণত হয়েছে। এটা একটা রোগ যা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। মুসলমান মুসলমানের রক্তচোষা হতে পারে না, এটাও গ্রাস রোগ। এ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। স্বর্ণের পাহাড় এবং হুর অপেক্ষা করছে। ”আয়াত-৬৫ঃ বলুনঃ আল্লাহ ছাড়া আসমান ও জমিনের কেউই গায়েবের খবর জানে না এবং তারা এও জানে না যে,তাদেরকে কখন পুণরায় জীবিত করা হবে। সূরা নমল-২৭।”
গ্রাস একটি রোগের নাম, যে গ্রাস করে এবং যাকে গ্রাস করে উভয়েই এই রোগে আক্রান্ত।