মাঝ আকাশে কিসের সঙ্গে ধাক্কা খেলো মার্কিন বিমান?
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
যুক্তরাষ্ট্রের একটি চার্টার্ড বিমান গত শনিবার রাতে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিশ থেকে ইলিনয়ে’র শিকাগো শহরে যাচ্ছিল। দেশটির এনবিএ বাস্কেটবল টিমের খেলোয়াড়দের বহনকারী বিমানটি যখন ওকলাহোমা শহরের ৩০ হাজার ফুট উপরে, ঠিক তখনই কি যেন ধাক্কা দিল বিমানটিকে?
চালকের অবশ্য ধারণাই ছিল না সেই ধাক্কা কতটা জোরালো ছিল। তাছাড়া দিগন্তহীন খোলা আকাশে শক্ত বস্তু কোথায়, যে সংঘর্ষ হবে? বড় ধরনের ঝাঁকি খেলেও বিমানের সবাই ছিল অক্ষত। পরে ডেল্টা এযারলাইনসের ১০১-৬৯ ফ্লাইটটিও নির্বিঘ্নেই গন্তব্যে পৌঁছায়। কিন্তু গন্তব্যে এসে মাটিতে নামার পর সবার চোখ তো কপালে। বিমানের সামনের অংশটি একেবারে চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। ঠিক যেন কোনো পাগলা ষাঁড় দারুণ ক্রোধে বিমানটিকে গুঁতো মেরেছে।
বিমানটি ভাড়া নিয়েছিলেন মার্কিন বাস্কেটবল দল ‘থান্ডার’। সেই দলের খেলোয়াড় রাসেল ওয়েস্টব্রোক পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, যাত্রার সময় বিষয়টি তাদের কাছে খুব একটা আশ্চর্যের মনে হয়নি। কিন্তু মাটিতে নেমে ধারণাই পাল্টে যায়। থান্ডার দলের অনেকেই অবশ্য বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন না। কেউ কেউ বলছেন তারা ইউএফও’র সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিলেন। আর বিমানটির চালক ভিনগ্রহের অজানা যান দেখার দুর্লভ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। দলের অন্যতম সদস্য স্টিভেন এডামস তো বিষয়টি নিয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র প্রতি টুইটারে প্রশ্নই ছুঁড়েছেন। একই সঙ্গে নেইল টাইসন ও বিল নি’র মতো ইউএফও গবেষকদের কাছে এই অদ্ভুত ঘটনার জবাব চেয়েছেন।
তবে পাইলট বলেছেন, ‘রাডারে ধরা না পড়লেও বিমানের সামনের কাঁচে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে কোনো আলোর রেখা চলে যেতে দেখেন তিনি। আলোর রেখা বলা ঠিক হবে না, যেন বিদ্যুতের ঝলক।’ এবিসি নিউজ।