শাহিন মামুন এর কবিতা- মানষী
মানষী
শাহিন মামুন
মানষী!
আমি কবি তোমার তুমিকে
হারিয়েছি যে আলোর মাঝে,
সেই আমি কবিই তোমার তুমিকে
বলো কেমনে খুঁজে পাবো
আঁধারে ভরা জীবন মাঝে?
মানষী!
কাগজের নৌকা যতোই সুন্দর হোক না কেনো
কাগজের নৌকা দিয়ে যে জীবন নদী পার হওয়া যায় না
সেটা কিন্তু একজন নারী হয়েও তুমি ভালোই বুঝেছিলে।
তাই তো তুমি নারী কাগজের নৌকা ছেড়ে
কাঠের নৌকাতেই চরে তোমার জীবন নদী পাড়ি দিলে।
ভবিষ্যৎ যাই হোক না কেনো তুমি নারীর
অন্তত বর্তমানে ডুবে যাওয়ার ভয় থাকলো না
তুমি নারীর জীবনে।
মানষী!
তোমার জীবনে আমি হয়তো
কখনো কোনোদিনও মূল্যবান ছিলাম না তোমার,
ছিলাম হয়তো বাগানের ঝড়ে পড়া ফুলের মতো দামী।
তাইতো নিঃশব্দে চলে গেলে ঝড়ে পড়া ফুল ছেড়ে
নতুন দামী ফুলের শোভাস পেতে।
বিদায়ক্ষণে একবারও প্রয়োজন বোধ করলে না একটু বলার
কবি! আমি চলে যাচ্ছি! তুমি ভালো থেকো!
আর আমাকে না পাওয়ার কষ্টে কখনো অভিশাপ দিওনা
তাহলে যে আমি সুখি হতে পারবো না কোনদিনও।
মানষী!
আজ অনেক কষ্টের পর বুঝতে পারলাম জীবন মাঝে
তুমি কখনোই আমার সম্পদ ছিলেনা জীবনের,
তুমি ছিলে শুধুই আমার জীবনের সম্পত্তি মাত্র।
কারণ, সম্পদ কখনো বিক্রি বা হস্তান্তর হয় না
কিন্তু সম্পত্তি সবসময়ই হাতের পালাবদল হয় বা হতে পারে।
যদি তুমি সম্পদই হতে আমার জীবনের
তবে সম্পত্তির মতো এতো সহজেই
সব মায়া ত্যাগ করে অন্যের হতে না কখনোই।
মানষী!
অভিশপ্ত ফুল হয়ে কখনো কোনো দিনও
কোনো দেবতার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় না
ফুল তুমি যতোই দেবতার সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাও না কোনো?
কারণ, তুমি মানষী আমি কবির অভিশাপে অভিশপ্ত এক নারী।
তাই যতোদিন বেঁচে থাকবে তুমি মানষী নারী এই পৃথিবীর বুকে
ততোদিনই বেঁচে থাকবে তুমি মানষী নারী অভিশপ্ত হয়ে
এই স্বার্থের পৃথিবীর বুকে।