মালয়েশীয় তরুণীর বিয়ে বন্ধ
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
প্রেমের টানে টাঙ্গাইলের সখীপুরে চলে আসা মালয়েশীয় তরুণী জুলিজাকে নিয়ে মনিরুলের বাড়িতে শুক্রবার রাতে চলছিল বিয়ের ধুমধাম। পরে মালয়েশিয়া থেকে আসা ফোনের এক কথায় থেমে যায় সবকিছু। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে এক বাংলাদেশি দাবি করেন, জুলিজা তাঁর স্ত্রী। তাঁদের চার সন্তানও আছে! খবর প্রথমআলো.কম
ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় থেকে প্রেমের সূত্র ধরে জুলিজা গত বৃহস্পতিবার রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। সেখান থেকে মা-বাবা ও বোনদের নিয়ে কলেজপড়ুয়া মনিরুল গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জুলিজাকে নিয়ে সখীপুরে নিজ বাসায় আসেন।
শুক্রবার রাতে মনিরুল-জুলিজার বিয়ের আয়োজন চলছিল। মনিরুলের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাত ১১টার দিকে মালয়েশিয়া থেকে আজগর আলী নামের একজন মনিরুলকে ফোন করেন। তিনি নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে জুলিজাকে তাঁর স্ত্রী বলে দাবি করেন। আজগরের দাবি, আজগর-জুলিজা দম্পতির চারজন সন্তান আছে, জুলিজার বয়স ৩২।
মনিরুলের একজন স্বজন জানান, আজ শনিবার রাতের ফ্লাইটে তরুণীর মা ছামিনা বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। তিনি এসে মেয়েকে নিয়ে আবার মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবেন বলে ফোনে মনিরুলের পরিবারকে জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ খবর মনিরুলের স্বজনেরা জানার পর বিয়ের আয়োজন থেমে যায়। বিয়ের ধুমধামে থাকা স্বজন-প্রতিবেশীরাও একে একে চলে যান। পরে রাতেই জুলিজাকে মনিরুলের মামা নওশের আলীর হেফাজতে তাঁর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নওশের আলী জানান, ‘বিয়ের আয়োজন চলছিল ঠিকই। কিন্তু ওই তরুণী সম্ভবত আমার ভাগনে মনিরুলকে মিথ্যা বলেছে। নিজেকে অবিবাহিত দাবি করেছে। মেয়েটির মা আজকালের মধ্যে আমাদের বাড়িতে আসার কথা। তিনি এলেই সবকিছু স্পষ্ট হবে।’
মনিরুলের বাবা ইমান আলী বলেন, ‘মেয়েটি আমাদের বলেছিল ওর বয়স ২২ বছর। এখন শুনি ৩২। চার সন্তানের মা। ঘটনা সত্য না মিথ্যা বুঝতে পারছি না। ওর মা দেশে এলেই আসল সত্য জানা যাবে।’
মনিরুলকে আজ শনিবার দিনভর বাসায় পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোন নম্বরও বন্ধ। মনিরুলের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘জুলিজা এখন কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে শুধুই কান্নাকাটি করছে।’