টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিড়ে ফেলার ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বরখাস্ত ও গ্রেফতার দাবী করলেন -বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যার জেণারেল হাসপাতালের চিকিৎসক কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিড়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।
আজ ২৫ নভেম্বর সকালে কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম হাসপাতালে যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান ভূঁইয়াকে দেখতে । এরপর সেখান থেকে তিনি জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করেন । সাক্ষাৎ শেষে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, জেলা প্রশাসকের সাথে এ ব্যপারে তার কথা হয়েছে। তার পক্ষে যতটুকু সম্ভব তিনি ততটুকু করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ।
এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, চিকিৎসক শহীদুল্লাহ কায়সারের এত সাহস হলো কি করে যে তিনি মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিড়েন? আমি মনে করি এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান যথাযথ নিয়মে সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু চিকিৎসক তাকে চিকিৎসার বদলে চরম অপমান করেছেন । অবিলম্বে তিনি এ চিকিৎসকের বরখাস্ত, গ্রেফতার ও তার সনদ বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবী করেন ।
টাঙ্গাইলের রসুলপুর মহেলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাজাহান ভূইয়া তার মাজা ও পায়ের জয়েন্টের হাড় ফেটে যাওয়ায় গত ১৭ নভেম্বর চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হন।
গত ২১ নভেম্বর হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারী বিভাগের প্রধান ও সহযোগি অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ কায়সার সকালে ভিজিট করতে এসে রোগির ফাইল দেখেন। ফাইলে রাখা মুক্তিযোদ্ধা শাজাহানের মুক্তিযুদ্ধের সনদ দেখে ক্ষিপ্ত হন এবং বলেন ‘‘এই সনদ কি রোগির চিকিৎসা করবে, না ডাক্তার করবে’’ বলে সনদটি ছিড়ে ফেলে দেন।
ডাক্তারের এ আচরণে আশপাশের লোকজন বিস্ময় প্রকাশ করেন। হাসপাতালের সুপার ডঃ নারায়ন চন্দ্র বলেন, এ ব্যপারে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ সদরউদ্দিনকে প্রধান করে এ কমিঠি গঠন করা হয়েছে ।
কমিটিকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে । ঘটনা সম্পর্কে ডা. মো. শহীদুল্লাহ কায়সারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।