একজন মুক্তিযোদ্ধা (পর্ব ০১)

রুদ্র ম আল-আমিন এর উপন্যাস
একজন মুক্তিযোদ্ধা

গ্রামের নাম বারবয়লা।  এই গ্রামেই বেড়ে ওঠা দুরন্ত এক বালকের নাম বদর আলী, স্কুল থেকে প্রাইমারী শেষ করে ভর্তি হন বাঘিল কে কে উচচ বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্র হিনদুধর্মের অনুসারী, তার একটা কারনও আছে। হিন্দু  মুসলিম দাঙ্গার ফলে মুসলমান ও হিন্দুগন আলাদা আলাদা স্কুল নির্মান করেন।

বদর আলীর পাঠ্য তালিকায় ইসলাম ধর্মের পরিবর্তে  বাধ্য হয়েই পরতে হয় হিন্দু  ধর্ম শিক্ষা। কি সব দেব দেবীর কথা বলা হয় তা বুজতে পারে না পাঠ্য বইয়ে।
কারো কাছে জিগগাসা করার মত সাহসও পায় না কেননা বদর আলী  মুসলমান, আর মুসলমানদের সাথে কথা বলে না হিন্দু  ছেলে মেয়েরা। তাদের নাকি বাবা মায়ের নিষেধ আছে।

বেশ কয়েকদিন কেটে যায়, একা একা ভাল লাগে না বদর আলীর একবার ভাবলো বাড়ি ফিরে যাবে কিনতু তাও সম্ভব নয় কারন বাবার আদেশ পড়ালেখা করতেই হবে।
জায়গীরবাড়িও বদর আলীর ভাল লাগেনা। কারন বদরআলীর সাথে বাড়ির কেউ কথা বলে না। আরেকবার ভাবে বাড়িতে গিয়ে বাবাকে সব খুলে বললে কি হয়?

অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলল বাড়ি যাবে। বাড়ি ফিরে বদর আলী কারো সাথে আর আগের মত কথা বলে না, সকালে উঠেই নদীর ধারে একা একা বসে থাকে, দুপুরের খাওয়াও ঠিকমতো খায় না।
এই ভাবে দুইদিন অতিবাহিত হলে রাতে খাবারে বসেই বাবা বললঃ
কিরে বদর নদীর ধারে বইসা থাকস ক্যান?
বদর মাথা নিচু করে থাকে।
বাইততে কারু সাথে কথা বলস না, জায়গীরদার তরে কিছু কইছে?
কি অইলো কথা কস না ক্যা?
বদর মাথা নিচু করেই আস্তে করে বলে
না,
খায়োন দেয় ঠিকমতো?
তরে কি কিছু কয়?
বাজান অহন খাও তুমি, পরে কমুনি
অহনি ক?
কাইনছার বাচচা আমার  পোলাডারে দেইহা রাহে না ওর কল্লাডা নামায়া ফালামু

(চলবে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!