মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যাকান্ড কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না-শামসুর রহমান শরীফ(এমপি)
স্বপন কুমার কুন্ডু, ঈশ্বরদী (পাবনা), বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
‘মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যাকান্ড কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সেলিমকে হত্যা করাতো দূরের কথা, তাকে কেউ একটা চড় মারতে পারে এটাই আমার বিশ্বাস হয়না। হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ার মতো এমন কোন কাজই সে করতো না।’ পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ এমপি শনিবার দুপুরে পাকশীর রূপপুরে গত ৬ই ফেব্রুয়ারী আততায়ীর গুলিতে নিহত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিমের বাড়িতে পরিবার-পরিজনকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে একথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন,বাল্যকাল হতেই সেরিম ছাত্রলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। আওয়ামী রাজনীতিতে যথেষ্ঠ অবদান রয়েছে। কোন কিছু প্রাপ্তির আশায় সে রাজনীতি করতো না। এই প্রথম একজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করায় আমি বিব্রত বোধ করছি। কাপুরুষের মতো তাকে হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সাংসদ শরীফ এসময় নিহত সেেিমর স্ত্রী দিলারা বেগম ও পুত্র তানভীর রহমান তন্ময়কে সান্তনা দিতে গিয়ে বার বার অশ্রুসজল হযে পড়েন। তিনি বলেন, পাকশীর রূপপুরে পুলিশ অফিসারসহ ৬টি হত্যাকান্ড সংঘঠিত হযেছে। এটি আতংকের বিষয়। মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের একের এক হত্যা করা হবে -আর হত্যারহস্য উদ্ঘাটন হবেনা এটি মেনে নেয়া হবে না। দ্রুত হত্যা রহস্য উদঘাটন এবং হত্যাকরী চিহ্ণিত করে ফাঁসি নিশ্চিত করার জন্য এসময় উপস্থিত থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকীকে তিনি নির্দেশ দেন।
এসময় নিহতের পরিবারদের মধ্যে দুই কণ্যা তমা ও তপা, বোন মিসেস ঝড়া, বেগম চাচাতো ভাই শামীম ও সুজা ছাড়াও আওয়ামী লীত নেতা মোহাম্মদ রশীদুল্লাহ, জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবু মন্ডল, পাকশীর চেয়ারম্যান এনাম বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল আলম রাজা, যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন স্থানীয় বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।