মালিগাছা ইউনিয়নবাসীর উন্নয়নে কাজ করতে চান স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. মুনতাজ আলী
আর কে আকাশ, পাবনা, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নবাসীর কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চান স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. মুনতাজ আলী। যিনি দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে মানুষের কল্যাণ ও আত্মমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে কাজের মাধ্যমে নিজেকে একজন পরোপোকারী ও সমাজসেবক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।
মুনতাজ আলী এবার পাবনা মালিগাছা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ইউনিয়নের জনগণের ভালোবাসাই আমাকে নির্বাচন করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। নির্বাচিত হলে আমি ইউনিয়নের জনগণের জন্য কল্যাণমূখী কাজের পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করবো। সেই সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, জলাবদ্ধতা নিষ্কাষণ, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, অতি দ্রুত বিভিন্ন নাগরিক সেবা প্রদান, গরীব অসহায়দের বিনামূল্যে বিভিন্ন সেবা প্রদান, বিপথগামী ও মোবাইল গেমে আসক্ত তরুণদের খেলাধুলায় উৎসাহিত, শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করবো। মানবসেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হতে আসিনি, আমি জনগণের সেবক হতে এসেছি।’
মুনতাজ আলীর কল্যাণমূখী কাজের পেছনেও একটি গল্প রয়েছে। ছাত্রাবস্থায় তার মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে যানবাহন খুঁছিলেন। কিন্তু কোনো যানবাহনই তিনি পাচ্ছিলেন না। অবশেষে পাবনা-ঈশ্বরদী সড়কে একটি গাড়ির দেখা পেলেন। গাড়িটিকে থামার জন্য সংকেত দিলেও গাড়িটি না থেমে সামনের দিকে চলে যাচ্ছিল। হঠাৎ গাড়িটি ব্রেক করে থেমে পিছিয়ে তাদের কাছে এগিয়ে আসো। গাড়িতে সে সময়ের পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য উপমহাদেশের বিখ্যাত শ্রমিক নেতা ওয়াজিউদ্দিন খান পাবনায় যাচ্ছিলেন। তিনি তার গাড়িতে করে তার মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। একজন সংসদ সদস্যের সেই মহানুভবতা তিনি এখনও মনে রেখেছেন।
সেদিনই তিনি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মানুষের কল্যাণ ও আত্মমানবতার সেবার জন্য তিনি কাজ করবেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন “সৈয়দ ফজলুর রহমান, মমতাজ বেগম ও সৈয়দ মুনতাজ আলী দুঃস্থ কল্যাণ ট্রাস্ট”। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন জনকল্যাণ ও সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।
তার অর্থায়নে এই প্রতিষ্ঠানকে তিনি একটি অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছেন। গরীব, অসহায় ও দুস্থদের জন্য এই ট্রাস্টের মাধ্যমে ফ্রী অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পরিচালনা করা হয়।
এছাড়াও তিনি অসহায়, গরীব দুস্থদের বিভিন্ন সময়ে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহযোগীতা করে থাকেন। গরীব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ-আর্থিক সহযোগীতার পাশাপাশি গৃহহীন ও মানসিক প্রতিবন্ধী, কন্যাদায়গ্রস্থ পরিবার ও অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগীতা করে থাকেন। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে আগামীতে একটি বৃদ্ধাশ্রম ও এতিমখানা তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
মহামারি করোনার দুঃসময়েও তিনি পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের গাছপাড়া, রামচন্দ্রপুর, মালিগাছা, মনোহরপুর, হিজুলিয়া, আতাউল্লাহপুর, ঘরনাগড়া, ক্ষুদ্রমাটিয়াবাড়ীসহ ১২টি গ্রামে প্রায় ২৩’শ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেন। পাশাপাশি মহামারি করোনা সংক্রমণ সর্ম্পকে মানুষষের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করেন।
সৈয়দ মো. মুনতাজ আলী পাবনার মালিগাছা ইউনিয়নের মজিদপুরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সরকারি চাকুরিজীবী মরহুম সৈয়দ ফজলুর রহমান ও মমতাজ বেগম দম্পত্তির ৫ সন্তানের মধ্যে ৪র্থ সন্তান সৈয়দ মো. মুনতাজ আলী একজন সফল ব্যবসায়ী।