মুশফিকদের টানা চতুর্থ হার
বিপিএলে টানা চতুর্থ হারের মুখ দেখলো সিলেট সুপার স্টারর্স। গতকাল ঢাকার কাছে ৩৪ রানে মুশফিকুর রহীম বাহিনী। ঢাকার ছুড়ে দেয়া ১৬৭ রানের জবাবে ১৯.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩২ রান করে সিলেট। ফলে ৩৪ রানের জয় পায় ঢাকা। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করে ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে। চার ম্যাচের সবকটিই হারল সিলেট। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচে ঢাকার এটি তৃতীয় জয়। প্রথমে ব্যাট করে অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারার হাফ সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান করে ঢাকা ডিনামাইটস। সাঙ্গাকারা ম্যাচ সেরা হন।
১৬৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে প্রত্যাশিত শুরু পায়নি সিলেট। ওপেনিং জুটিটা ৩১ রানে ভাঙলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে দলটি। টপঅর্ডারের সবাই কম বেশি ভালো শুরকিরেছিলেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। মুনাবীর ১৬, জস কব ১৫, মুমিনুল হক ১২, রবি বোপারা ৫ রান করেন। অধিনায়ক মুশফিক আবুল হাসানের বলে এলবির ফাঁদে পড়লে ৮০ রানে ৫ উইকেট হারায় সিলেট। কার্যত তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে দলটি। মুশফিক ২৩ রান করেন। ষষ্ঠ উইকেটে নুরুল হাসান ও নাজমুল মিলন ৩৭ রানের জুটি গড়েন। তবে এক প্রান্তে শেষ পর্যন্ত লড়াইটা চালিয়ে গেছেন নুরুল হাসান। যদিও সেটা শুধু সিলেটের পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর কাজই করেছে। ফিদেল এডওয়ার্ডসকে (৫) আউট করে সিলেটের ইনিংসের লেজটা মুড়ে দিয়েছেন ফরহাদ রেজা। নুরুল হাসান ২২ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। মিলন ১৩ রান করেন। ঢাকার পক্ষে মোশাররফ হোসেন ৩টি, মুস্তাফিজ-ইয়াসির শাহ-আবুল হাসান ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার ইনিংসের চতুর্থ বলেই ওপেনার সৈকত আলীর (০) উইকেট হারানো ঢাকার আক্রমণটা শুরু হয় অধিনায়ক সাঙ্গাকারার ব্যাটেই। ফিদেল এডওয়ার্ডসের করা দ্বিতীয় ওভারেই চারটি বাউন্ডারি মারেন এ লঙ্কান। সম্ভাবনা জাগালেও তরুণ সাদমান থেমে গেছেন ১৫ রান করেই। তৃতীয় উইকেটে সাঙ্গাকারা-নাসিরের ৬৬ রানের জুটিতেই ঢাকাকে বড় রানের ভিত গড়ে দেয়। রানের দেখা পাওয়া নাসির ফিরেছেন ৩৩ রান করে। ১৪তম ওভারে একশো রান পূর্ণ হয় ঢাকার। দুর্দান্ত ব্যাটিং শৈলীতে ৪৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরই সাঙ্গাকারার ব্যাট ক্রমশ চড়াও হতে থাকে প্রতিপক্ষ বোলারদের উপর। ১৯তম ওভারে তিনি ফিরেছেন বিপিএলের তৃতীয় আসরে এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলে। ৫৬ বলে ৭৫ রানের (৯ চার, ১ ছয়) ঝকঝকে ইনিংস খেলে শহীদের শিকার হন সাঙ্গাকারা। লাহিরু থিরিমান্নে ১৩, ম্যালকম ওয়ালার অপরাজিত ১০ রান করেন। সিলেটের শহীদ ২ উইকেট নেন।