যদি আমাকে দেখতে মন চায়
যদি আমাকে দেখতে মন চায়, বাংলার মুখ তুমি দেখে নিও।
বাংলার মুখ, পৃথিবীর সু বাতাস আর দুরের নীল আসমান। যারা দেখতে পায়, কবি তুমি তাদের কথা বলেছো শুধু। কিন্তু—–
আমাদের মানিক ভাই। আমাদের স্বজল, বাবলা কনিকা, পুস্পা, আর বেনুলতারাতো দেখতে পায়না। তাদের কথা বললে না কবি কিছু?
জীবনের বৈরি বাতাস, আর সপ্নের মৃত্যু নিয়ে বেচে থাকে যারা, যারা কখনও দেখেনি ফড়িং এর নাচন সবুজ ধানের পাতায়, দেখেনি শিমুল,দেখেনি কৃষ্ণ চুড়ার রক্তিম রং।
তাদের অন্তরের কল্পনার রং তোমার কবিতায়, শব্দের তুলিতে একেছো কি? কখনো?
এক্টু আকো রঙ এর ছবি তাদের অন্তরাত্তার গান নিয়ে। রোদ্দুর মাখা ভরা দুপুর কিংবা জোনাকি ভরা রাত যাদের কাছে আলেয়া। তারা কি পায় জীবনের স্বাদ। কবি, কিছু লিখো তাদের কথা।
পৃথিবীর মহোমায়ায় আমরা যখন আত্বার প্রশান্তচিত্ত নিয়ে খেলি হলিখেলা। ভাসাই প্রেমের ভেলা সজনের পাড়ঘাটে। ইনজিয় করি বৈকালি চা বিস্কুট।
তখন দৃস্টিহীনতার প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আমাদের ই স্বজনেরা ঘুরে, বাসে বাসে, রাস্তায়, গলিতে গলিতে গলায় তাদের থাকে আব্দুল আলিমের মরমি সংগিত।
“এই যে দুনিয়া কিসের ও লাগিয়া-“
কবি একটা কবিতা লিখো তাদের জন্যে, স্বকন্ঠে আবৃতি করো কোনো সাম্প্রতিক কবিতার আসরে। কি লিখেছো পান্ডলিপিতে তোমার? দেখবেনা হয়তো কোনদিন তারা। আলোহীন দৃস্টিতে কিন্তু শুনবে তোমার স্বরচিত বানী,তাদেরকে দেয়া ইস্বরের অলৌকিক দানের তিক্ষ্ণ অন্তরাত্তায়।
কবি কাঞ্চনমালার গল্প নয়। বলো, জীবনের সোনার হরিনের গল্প। শিখাও “we shall over come one day”। ছড়িয়ে দাও তাদের হতাসার বুকে প্রীতির পরাগ। ছড়িয়ে দাও জয়ের আগাম বার্তা।।
নিরানন্দ আর অক্ষমতা ভরা জীবন নিয়ে বড় ক্লান্ত ওরা। হাত ছানি দিয়ে ডাকে তাদের সময়ের বৈরি বাতাসে।
আমাকে বলেছো তুমি মানিক ভাই, ভিক্ষার থলি নিয়ে বাসের কামড়া থেকে ধাক্কা খেয়ে কোমড় ভেংগেছো কেউ কেউ। ভেংগেছো কেউ কেউ পাজরের হাড়। কি করি বলো? কি করে তুলে দেই তোমাদের হাতে জীবনের স্বাদ।
আমি কবিতা লিখতে জানিনা। এ আমার কর্ম নয়। ভাষার চাষিরা কি করে শব্দের বীজ বুনে সাদা কাগজের বুকের আলিতে। এ কায়দা আমার জানা নেয় মানিক ভাই যখন শুনি তোমাদের সৃজনশীলতার কথা – তোমাদের দক্ষতা – উদ্ভাবনীর কথা -লিখতে ইচ্ছে হয় পংতিমালা তোমাদের দৃস্টিহীন চোখের আলোর জন্যে।
তুমি বলেছো কিষানের বিজ বপনের মত তোমাদের হাত ও নাকি হতে পারে দক্ষ। মাটির কারিগরের মত তোমাদের হাতেও নাকি আছে জাদুগরি ক্ষমতা। জীবনকে এমনভাবে জয়ী করার উদ্দোম আমি দেখিনি কখনো আগে। তোমার কথার ভেতর তোমার আত্বার স্পর্শ টের পাই আমার বোধের ভেতর। খোলা দর্পন জেনো তোমার সম্মুখে,আমি দুর থেকে তা দেখি। দেখি তোমার ঠোটের কোনের জয়ের হাসি,জখন তোমার অনুরুধের বানীতে আমাকে করতে পেরেছো জয়।
বলেছো “আপা আমরা তোমাদের ই মত একজন, পারবো যা দিবে কাজ।” বলেছো ” হাত ধরে নিয়ে চলো পথো চিনিনা।”
কথা দিয়েছি, মানিক ভাই তোমাদের দৃস্টিহীন চোখের আলোর জন্যে. কোন এক কবির মত আমি একজন কবি হয়ে যাবো। আমি লিখতে শুরু করবো তোমাকে ভালবাসার কবিতা। আমার চোখ দিয়ে তোমরা দেখবে পৃথিবীর মুখ দেখবে বাংলার রুপ। আমার কবিতার নাম “লার্ন এন্ড লিভ”. “আর্ন এন্ড লিভ”। শিখবে কাজ,গরবে জীবন।
বরিশালে তোমাদের বসবাস। নুমানি মামুন আছে।নুপুর আছে। হাত ধরে নিয়ে যাবে তারা তোমাদেরকে জীবন গড়ার পাটশালায়। ক্ষতি নেই তোমরা দেখতে পাওনা। দেখবে আকাশ, দেখবে বাতাস তোমাদেরকে। গোটা পৃথিবী দেখবে তোমাদের নাম। পড়বে তোমাদেরকে নিয়ে লেখা জয়ের কবিতা।
তোমরা আলোকিত হবে একদিন খ্যাতির রোদ আর শ্রদ্ধার জ্যোৎস্নায়।
কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
- প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।