যেভাবে মসজিদ হলো মুম্বাইয়ের একটি কুখ্যাত সিনেমা হল

 

গত শতাব্দীর শুরুতে নির্মিত মুম্বাইয়ের আলেক্সজান্দ্রা সিনেমা হলটিতে এক সময় প্রদর্শিত হতো হলিউডের চলচ্চিত্র। তবে চলতি শাতব্দীর শুরুতে এটি বদলে যেতে শুরু করে। তখন এখানে দেখানো হতো প্রাপ্তবয়স্কদের সিনেমা। অবস্থা এতোটাই খারাপ ছিল যে ‘নোংরা পোস্টারের’ ভয়ে সন্তানদের নিয়ে ওই সিনেমা হলের সামনে দিয়ে যেতে সঙ্কোচ বোধ করতেন অভিভাবকরা। এরপর তিন বছরে বদলে যায় দৃশ্যপট। সিনেমা হলটি একটি মসজিদ কাম ইসলামিক সেন্টারে রূপান্তর হয়। আজ সেই ভবনের ডলবি ডিজিটাল স্পিকার থেকে আর আইটেম গানের কানফাটা শব্দ আসে না। সেখানে এখন আজানের সুমধুর আহ্বান ধ্বনিত হয়, আহ্বান জানানো হয় নামাজের। এখানে এখন প্রতিদিন পাঁচবার মসজিদের ইমাম সাহেব পবিত্র কোরবানের বাণী তেলাওয়াত করেন। কীভাবে সম্ভব হলো এটা? ২০১১ সালে শুরু হয় এই রূপান্তর। তখন ১৫,০০০ বর্গফুটের বিশাল এই সম্পত্তি কয়েক কোটি টাকায় কিনে নেন মুম্বাই ভিত্তিক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী রফিক দুদওয়ালা। এরপর তিনি এটি দান করেন দ্বীনিয়াত নামের একটি ইসলামিক এনজিওকে। উর্দু ও আরবি ভাষায় বই প্রকাশ করে ভারতবর্ষজুড়ে বিক্রি করে এই সংস্থাটি। ভারতীয় সিনেমা তৈরির প্রথম দিকে ১৯২১ সালে আলেক্সজান্দ্রা সিনেমা চালু করেছিলেন অভিনেত্রী আর্দেশি ইরানি এবং চলচ্চিত্র ম্যাগনেট আবদুল আলী ইউসুফ আলী।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!