এখনো মেয়েরা নিজের রক্ত দিয়ে আমাকে প্রেমপত্র লেখে: কাসেম বিন আবু বকর
বাংলাদেশী প্রবীণ ঔপন্যাসিক কাসেম বিন আবু বকর। তার উপন্যাসগুলো হাজার হাজার কপি বিক্রি হয়ে থাকে। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকেও তাকে নিয়ে জোরালো বিতর্ক আছে। অনেকের দাবি, কাসেম বিন আবু বকর বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি কাসেম বিন আবু বকরকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইয়াহু নিউজ, মধ্যপ্রাচ্যের আরব নিউজ, মালয়েশিয়ার দ্যা স্টার ও মালয়মেইল, পাকিস্তানের দ্য ডন, ফ্রান্সের ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর ও রেডিও ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল, হাঙ্গেরির হাঙ্গেরি টুডেসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ফলাও করে কাসেমকে নিয়ে ওই প্রতিবেদন ছেপেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি’কে আবু বকর স্মৃতিচারণ করেন, ‘অনেক মেয়েরা রক্ত দিয়ে আমাকে চিঠি লিখে তাদের ভালোবাসার কথা জানায়। এমনকি বিয়ে করার মত পাগলামীও প্রকাশ করেছে।’
তিন দশকের বেশি আগে লিখিত হয় আবু বকরের প্রথম উপন্যাস ‘ফুটন্ত গোলাপ’। এটি মূলত ইসলামিক মূল্যবোধ প্রকাশের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত এক অনবদ্য রোমান্স কাহিনি। এই উপন্যাসের নায়ক-নায়িকা দুটি ভিন্নধর্মী ইসলামী মূল্যবোধ লালিত পরিবারের সদস্য হলেও শেষ পর্যন্ত তাদের মিল হয় এবং বিয়েও হয়। এবং সেখানে রোমান্স ও সম্পর্কের পরিসীমা দেখানো হয়েছে তাতে ইসলামী বিধি-নিষেধ মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা আছে লেখকের।
১৯৭০ সালে প্রথম উপন্যাস লেখা শুরু করেন এই লেখক। তিনি ছিলেন একজন বইয়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী। যখন তিনি বই বিক্রি করতেন, তিনি দেখতে পেতেন বেশিরভাগ প্রেমের উপন্যাসের পটভূমি আধুনিক ঘরানার উচ্চবিত্ত শহুরে সমাজকে কেন্দ্র করে লেখা। তখন তিনি গ্রামীণ পটভূমিতে প্রেমের উপন্যাস লেখার তাগিদ অনুভব করেন। তার মতে, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে একটি বিশাল সংখ্যক মানুষের বাস গ্রামে। যারা রক্ষণশীল ধার্মিক চেতনার মানুষ। তাদেরকে শহুরে প্রেমের উপন্যাস থেকে বঞ্চিত রেখেছেন সেকালের লেখকেরা। আর তাই তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে শহর আর গ্রামের মধ্যকার এই পার্থক্য দূর করার তাড়না থেকেই উপন্যাসিক হিসেবে আবির্ভূত হন।