সেলিনা জাহান প্রিয়া’র কবিতা-রদ্রের অনামিকা
রদ্রের অনামিকা
—- সেলিনা জাহান প্রিয়া
কবে দেখা হয়েছিল তোমার সাথে শেষ বার,
ঠিক আজ সেই ক্ষণ, মনে নেই আমার!
কিন্তু সেই তুমি কেমন জানি আগেরই মতো
সেই চুলের ভাজ, হাফহাতা সার্ট!
বাহ! চমৎকার সেই বাকা দাতের হাসি
কিন্তু অবাক হলাম! জানো কি? কেন হলাম!
তোমার সেই অনামিকা বলে ডাকা নামটি
আজ জিবনের গল্প হয়ে আছে।
পাত্র পক্ষ যে দিন মেয়েটি কে দেখতে এলো,
মেয়েটি কে বলে ছিল নাম কি?
মেয়েটি মাথার ঘুমটা ঠিক বলে ছিল
অনামিকা! আজ আমি সেই অনামিকা
এখন আর অঞ্জলি বলে সহ পাঠী ছাড়া
কেউ চিনে না।
আচ্ছা রদ্র আমি কথা বলে যাচ্ছি
তুমি কিছু বল না।
কত দিন তোমার কণ্ঠ শুনি না, ঠিক মনে নেই
আমার বরকে বলেছি তোমার কথা
তুমি শুনলে আমায় আজ পাগলি বলবে
আমি ওকে বলেছি যে
আমি কলেজে না গেলে রদ্র উঠত না!
আমার পতি বড় হাসিয়া শেষ
বলল কি শুনবে?
প্রথম দেখায় নাকি সে রদ্র দেখিছিল আমার নয়নে!
বাহ রদ্র তুমি হেসে যাচ্ছ আমার কথায়!
আমি কিন্তু বেশি বলেনি শুধু বলেছি
ইস রদ্র যদি আমাকে একটু বুঝে নিত তার মতো!
কি রদ্র ভুল বলেছি!
রদ্র একটু হেসে বলল তোমর ট্রেন এসে গেছে
ও যা তাই তো।।
আমাকে এখনি উঠতে হবে লাকসাম নামতে হবে।
রদ্র দেখা হবে কবে? তোমার কথা আজো শুনা হল না
রদ্র কিছু বল ট্রেন তো ছেরে যাচ্ছে
রদ্র আবার হেসে বলল
অনামিকা মেঘ বালিকা কবিতা টা পড়ে নিও
রদ্রের সব কথা সেই খানে বলা আছে।
আমি আজো অনামিকা রদ্রের কাছে
রদ্রের অনামিকা, অনামিকা হয়ে
আজো রদ্রের শহরে সে অনামিকা