রাজধানীর আজিমপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
রাজধানীর আজিমপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে। দুই পক্ষই ঘটনাস্থলে থাকা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং আগুন দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, সকাল থেকে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষের লোকজন আজিমপুর পার্ল হারবার কমিউনিটি সেন্টারের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। প্রায় আধা ঘণ্টা মারপিটের ঘটনা ঘটে। কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থাকা ২০টির মতো মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। তিনটিতে আগুন দেওয়া হয়। মোটরসাইকেলগুলো দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ পূর্বনির্ধারিত প্রস্তুতি সভা করছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণকে ইউনেসকো স্বীকৃতি দেওয়ায় ১৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা ছিল এটি। একই সময়ে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার আবু আহমেদকে ‘লাঞ্ছিত’ করার প্রতিবাদে কমিউনিটি সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ করে আরেকটি পক্ষ। এই পক্ষটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনের অনুসারী বলে স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন।
শাহে আলম মুরাদের অভিযোগ, তাঁর সভা পণ্ড করতে রাতে কমিউনিটি সেন্টারে ঢোকার মুখে সিটি করপোরেশনের গাড়িতে করে ময়লা এনে ফেলা হয়। এরপরও এসব বিষয় উপেক্ষা করে তিনি সভা করছিলেন।
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, ১৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগের নাগরিক সমাবেশ উপলক্ষে একটি প্রস্তুতি সভা ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম চলছিল। এ সময় কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ময়লা ফেলে সভায় বাধার সৃষ্টি করা হয়। এটা করার মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে বাধা দিয়েছে।
মেয়রের সঙ্গে আপনার দ্বন্দ্বের কারণে এমন হচ্ছে—এ প্রশ্নের জবাবে শাহে আলম মুরাদ বলেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব করতে চাই না। আমরা আওয়ামী লীগ করি। আমরাই তাঁকে মেয়র বানিয়েছি। তিনি তাঁর কাজ করবেন, আমি আমার কাজ করব—এখানে দ্বন্দ্বের কিছু নেই।’
এ ব্যাপারে জানতে মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে কথা বলতে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শেখ বলেন, একই সময় কর্মসূচি থাকায় সকাল থেকে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের লালবাগ জোনের উপকমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সকাল থেকে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। মারামারি একপর্যায়ে পার্ল হারবার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রাখা তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। কোন পক্ষ আগুন দিয়েছে কিংবা কার মোটরসাইকেল পোড়ানো হয়েছে, তা জানা যায়নি। বেলা একটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সূত্র: প্রথম আলো