রিফাত হত্যার আসামি চন্দন গ্রেফতার
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে (২২) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় চন্দন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় চন্দন ৪ নং এজাহারভুক্ত আসামি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) চন্দনকে গ্রেফতার করার কথা জানান বরগুনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির হোসেন মাহমুদ। তিনি বলেন, বাকিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করতে র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এর আগে, রিফাত হত্যায় আটজনের নাম উল্লেখসহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা দুলাল শরীফ। বরগুনা সদর থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।
ওই দিন সকাল ১০টার দিকে নয়নের নেতৃত্বে ৪-৫ জন সন্ত্রাসী রিফাতকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। এ সময় বারবার সন্ত্রাসীদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
একপর্যায়ে গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে রিফাত মারা যান। বর্তমানে রিফাতের মরদেহ বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
নিহতের পরিবার জানায়, রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার সদ্যবিবাহিত স্ত্রীর প্রেমিক নয়ন। রিফাতের সঙ্গে দুই মাস আগে পুলিশলাইন সড়কের আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি নামের এক মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর নয়ন নামে এক যুবক মিন্নিকে তার প্রেমিকা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিতে থাকে।
রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, নয়ন প্রতিনিয়ত আমার পুত্রবধূকে উত্ত্যক্ত করত এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিত। এর প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে নয়ন তার দলবল নিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, আমার একমাত্র ছেলেকে যারা দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই।