রিমান্ড শেষে কারগারে ফারুক-তাসভীর
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
রাজধানীর বনানীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভীর উল ইসলাম এবং ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৮ মার্চ) ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসিন আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) রকিব এ বিষয়ে বলেন, ‘সাতদিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ৩১ মার্চ দুজনকে সাত দিন করে রিমান্ডে পাঠান ঢাকার সিএমএম আদালত। আজ সে রিমান্ড শেষ হলে ঢাকার সিএমএম আদালতে তাদের হাজির করা হয়।
গত ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ণ (এফআর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলে ২৫ জন এবং হাসপাতালে আরো একজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন ৭৩ জন।
এফআর টাওয়ারে আগুনে হতাহতের ঘটনায় গত ৩০ মার্চ বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যু সংঘটনের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।
মামলায় কাশেম ড্রাইসেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভীর উল ইসলাম, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল ও বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে আসামি করা হয়।
গত ৩০ মার্চ রাতেই তাসভীর উল ইসলাম ও ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বরে ভূমি মালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ণ গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়। পরে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ভবনটিকে ২৩তলা পর্যন্ত বর্ধিত করে নির্মাণ করা হয়। ডেভেলপার কোম্পানি ভবনটির ২০ ও ২১তম তলাটি জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দুটি কিনে নেন কাশেম ড্রাইসেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি নেতা তাসভীর উল ইসলাম। এরপর তিনি নকশা পরিবর্তন করে ছাদের ওপর আরো দুটি ফ্লোর নির্মাণ করেন।