প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে সারা বিশে^র এটমিক এনার্জির মডেল রূপ দিচ্ছেন: ভূমি মন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
ভাষাসৈনিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এম.পি. বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পাবনা ঈশ^রদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে বিশে^র অন্যতম এটমিক রিএ্যাক্টর এনার্জি উৎপাদনের মডেল রূপ দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাওয়ার প্লান্টটি বিশে^র আদর্শ রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার ঈশ^রদী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় সরকারি খাস জমিতে অস্থায়ীভাবে চাষাবাদকারী কৃষকদের মাঝে মানবিক দিক বিবেচনায় ফসলের ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান এবং আসন্ন ১৪ জুলাই ২০১৮ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈশ^রদী আগমণ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরে মন্ত্রী ২০৬ জন কৃষকের মাঝে ৮ কোটি টাকার চেক বিতরণ করেন। পর্যায়ক্রমে ৫২৫ জন কৃষকের মাঝে ২৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হবে।
পাবনা জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে ঈশ^রদী
উপজেলা চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন, মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ^রদী উপজেলার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি নিরসনের প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এ প্রেক্ষিতে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার দেশের ক্ষমতা গ্রহণের পর বাংলাদেশের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম.এ. ওয়াজেদ আলী মিঞা রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বাস্তব উদ্যোগ নেন। দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো নিশ্চিত করাসহ দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি করতেই দেশের সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেন। অথচ এ বিদ্যুৎ নিয়ে
একসময় অনেক ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প দেশের সব প্রকল্পের মধ্যে বৃহৎ প্রকল্প। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকলে ব্যবসা, বাণিজ্য, কল কারখানা কিছুই সম্ভব নয়। সব স্থানেই বিদ্যুৎ দরকার। সেচ, কৃষি কাজ, শিল্প, বাণিজ্য সকলক্ষেত্রে বিদ্যুৎ প্রয়োজন। জাতির উন্নয়নে বিদ্যুতের ভূমিকা অপরিহার্য্য। মন্ত্রী বলেন, সরকারি পতিত জমিতে এতোদিন কৃষকরা আবাদ করেছে। এখন নতুন করে ৮০০ একর খাস জমি রূপপুর প্রকল্পের আওতাভুক্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দুই বছরের আবাদি ফসলের ক্ষতিপূরণ কৃষকদের মাঝে বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন। সে লক্ষ্যেই ২৮ কোটি টাকা ৫২৫ জন কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক বলয়ের আওতায় মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা থেকে শুরু করে
সব ধরনের ভাতা দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করে যাচ্ছেন। দরিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার
লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ। তিনি দুঃখী, দরিদ্র অসহায় মানুষের অভাব দুর করে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী উন্নত বাংলাদেশ গড়া পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্থ্য জীবন ও দীর্ঘজীবী হওয়ার প্রত্যাশার আল্লাহর কাছে সকলের পক্ষ থেকে দোয়া চান।