রেলের টিকিটে যুক্ত হচ্ছে যাত্রীর নাম
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম
মন্ত্রী বলেন, যেখানেই কালোবাজারি সেখানেই প্রতিহত করা হবে। কোনো ছাড় নেই। কাউকে পাওয়া গেলে সরাসরি হাজতে পাঠানো হবে। এ জন্য জিআরপি পুলিশসহ দু’টি সংস্থা কাজ করছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে টিকিটে নাম লেখা পদ্ধতি চালু রয়েছে। সেখানে যিনি ভ্রমণ করবেন তার নামেই টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। অন্যজনের টিকিট দিয়ে ভ্রমণ করার কোনো সুযোগ নেই। এ জন্য ট্রেনে আলাদা চেকিং রয়েছে। তারা ট্রেনে উঠে যাত্রীদের পরিচয়পত্র কম্পিউটার সিটের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন। নাম না মিললেই আর রক্ষে নেই।
অন্যদিকে বাংলাদেশে টিকিটে নামের কোনো বালাই নেই। কে টিকিট কাটছেন আর কে ভ্রমণ করছেন তার কোনো ঠিক নেই। এই সুযোগে কালোবাজারিরা এক শ্রেণীর অসাধু রেলকর্মীর সঙ্গে যোগসাজশ করে টিকিট কালোবাজারি করে আসছেন। একসঙ্গে অনেকগুলো টিকিট কিনে চড়া দামে বিক্রি করছেন কালোবাজারে।
অনেক সময় কাউন্টারে টিকিট না মিললেও কালাবাজারিদের কাছে ঠিকই পাওয়া যায়। এ জন্য টিকিট কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ তিনগুণ দামে। ক্ষেত্র বিশেষে রেলওয়ের কিছুই করার থাকে না। নাম প্রথা চালু হলে একদিনেই টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করেন রেলওয়ের লোকজন।
মন্ত্রী বলেন, এখন আর রেলপথ রুগ্ন নয়। এখন সুস্থ সবল ও আরামদায়ক ভ্রমণের নাম। পুরাতন কোচ পরিবর্তন করে নতুন কোচ যেমন যুক্ত করা হচ্ছে, তেমনি বেশকিছু রুটে নতুন লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। আগে কক্সবাজার জেলায় কোনো রেলপথ ছিল না। আখেরী স্টেশন ছিল চট্টগ্রামের দোহাজারি। এখন দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে ট্রেনে চড়েই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে যাওয়া যাবে।