রোকসানা, ফারিয়া লারা ও পৃথুলা তিন বৈমানিকের আত্মত্যাগ
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
১৯৮৪ সালে ঢাকায় বিমানবন্দরের কাছের জলাভূমিতে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৪৯ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। সেসময় অন্যান্য যাত্রীদের সাথে নিহত হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক লাইসেন্সপ্রাপ্ত পাইলট কানিজ ফাতেমা রোকসানা। দীর্ঘ সাত বছর দক্ষতার সাথে বাণিজ্যিক বিমান পরিচালনার রেকর্ড ছিলো এই মহিলা বৈমানিকের।
১৯৯৮ সালে সেনা প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় পুরান ঢাকার পোস্তগোলায় সহযোগী পাইলট রফিকুল ইসলামসহ নিহত হন প্রশিক্ষণার্থী পাইলট ফারিয়া লারা। তিনি ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের মেয়ে। সেলিনা হোসেন পরবর্তীতে নিজের প্রয়াত কন্যাকে নিয়ে ‘লারা’ নামে একটি বই লিখেন যেটি বেস্ট সেলার পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল।
নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার ড্যাশ-৪ বিমান দূর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে আছেন মহিলা পাইলট ফার্স্ট অফিসার পৃথুলা রাশিদা। তিনি মূল পাইলট আবিদ সুলতানের সহযোগী হিসেবে ফ্লাইট পরিচালনা করছিলেন। সাধারণত এ ধরণের প্লেন ক্রাশে কেউ বাঁচে না, তবে শুধুমাত্র পাইলটদের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া চেষ্টা ও দক্ষতায় এ দুর্ঘটনায় বেঁচে গেছেন ১৭জন।সংগ্রহ-রওশান জাহান এর ফেসবুক থেকে।