“রোম নগরী পুড়ছে, নিরো বাঁশি বাজাচ্ছে”

 

 

“রোম নগরী পুড়ছে, নিরো বাঁশি বাজাচ্ছে”

রণেশ মৈত্র (সিডনী থেকে)

সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিত্যদিন এমনই দাঁড়াচ্ছে যাকে অবশ্যই বহু পুরাতন একটি প্রবাদ-বাক্যকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হলেও-এদেশের মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিমরা একটি মুহুর্তও নিরাপদ মনে করছেন না। নিরাপত্তা বোধ সামান্যতমও নেই মন্দির সমূহের পুরোহিতদের-গীর্জায় প্রার্থনা পরিচলাকদের বা বৌদ্ধ মন্দিরের কোন সেবায়েতের। এ তবে কোন বাংলাদেশ? এটাই কি সেই বাংলাদেশ-যে বাংলাদেশের মানুষেরা হিন্দ-মুসলমান-বৌদ্ধ খৃষ্টানেরা ধর্ম নির্বিশেষে-নারী ও পুরুষ লিঙ্গ নির্বিশেষে একজোট হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উদাত্ত আহ্বানে শহীদ তাজ উদ্দিনের যোগ্যতম নেতৃত্বে-১৯৭১ এ সকল বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে অস্ত্র হাতে নিয়ে উচ্চ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লক্ষাধিক পাক-সেনাকে নয় মাস ব্যাপী মরণ পণ লড়াই করে ১৬ ডিসেম্বরের পড়ন্ত শীতল রোদে গৌরবের বিজয় পতাকা উড়িয়েছে? সে দিনগুলি ছিল লড়াই এর দিন সংগ্রামের দিন-যুদ্ধের দিন। সে যুদ্ধে-দেশী-বিদেশী মিত্রের অভাব আদৌ ছিল না-যেমন ছিলনা শত্রুপক্ষেরও অভাব। শত্রুপক্ষও বিপুল শক্তিশালী এবং উচ্চ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হওয়া সত্তেও তারা যে নিদারুণ পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়েছিল শক্তিকামী বাঙালিদের হাতে তার অভ্যন্তরীণ মূল্যবোধটা কোথায় নিহিত ছিল? আমরা আজ সেদিনের সেই লড়াই সংগ্রাম, সেদিনের সেই ইতিহাস, সেই গৌরবগাথাকে-যা আমাদের জীবনের সর্বোচ্চ সন্মানের-তাকে যেন সবাই মিলে ভুলতে বসেছি। সেই স্মৃতিগাথাকে যেন সকলে মিলেই কবরস্থ করতে বসেছি। কি ছিল সেদিনের সেই বিজয়ের অন্তরালে? ছিল এক অসাধারণ ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনা। শিক্ষাটা ছিল এমনই যে বাঁচবো-সবাই মিলেই বাঁচবো-গড়বোই আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ-যেখানে সকল মানুষের সমান অধিকার থাকবে-সকল প্রকার বৈষম্যের অবসান ঘটবো-ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার এই প্রত্যয়ে নিষ্ঠ থেকে ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতিকে বিদেয় দেওয়া হবে-শিক্ষা-দীক্ষা-চাকুরী-বাকুরী অর্থাৎ সমাজ জীবনের সকল ক্ষেত্রেই নারীপুরুষ-ধার্মিক-নাস্তিক নির্বিশেষে নকল নাগরিকের সম অধিকার প্রয়োগিক অর্থেই সুনিশ্চিত হবে। কিন্তু আজ মুক্তিযুদ্ধের ৫৫ পছর পরে চারিদিকে তাকালে যে দৃশ্য চোখে পড়ে তার সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের সামান্যতম সঙ্গতি খুঁজে পাওয়া যায় না। এই মহান আদর্শ ও চেতনা বিধৃত হয়েছিল ১৯৭২ এর সংবিধানে এবং তা প্রতিফলিত হয়েছিলো ঐ সংবিধানের পর মৌল নীতিতে। সেখানে জাতীয়বাদ ছিল, গণতন্ত্র ছিল, ধর্মনিরপেক্ষতা-সমাজতন্ত্র ছিলো। ছিল না রাষ্ট্রধর্ম-ছিলো না জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামে, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলামী পম্রুখ ধর্মের নামে মহান মুক্তিযুদ্ধে ও স্বাধীনতা-বিরোধী দলের অস্তিত্ব রাখা ও তার কাজ কর্ম করার বিন্দুমাত্র অধিকার। আজ কালের পরিক্রমায় বাংলাদেশ নামক ছোট্ট কিন্তু জনবহুল দেশটিতে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা মুক্তিযুদ্ধকে আজ যেন ঝাপসা, অস্পষ্ট এবং অনেকাংশে যেন অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তুলেছে। অবিশা¦স্য, দুঃখজনক এবং ধারণাতীত হলেও আজকের বাংলাদেশে সেটাই হলো নির্মম, নিষ্ঠুর সত্য। এখন আমরা রীতিমত বিভক্ত-কেউ হিন্দু-কেউ মুসলমান, কেউ বৌদ্ধ, কেউ খৃষ্টান, কেউ আহমেদিয়া, কেউ শিয়া, কেউ সুন্নী, কেউ বা না¯িকÍ বলে চিত্রিত। নেই কোন বাঙালি-যে বাঙালি বাংলাদেশ গড়েছিল-বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানী সৈন্য বাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে-মরণ পণ লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল-বাস্তবে যেন আজ জীবন্মৃত। রাষ্ট্র আজ কার্য্যত: তাদের বিরুদ্ধে এবং অনেকটা যেন পাকিস্তান রক্ষায় যারা বাঙালি নিধনে সর্ব প্রযতেœ সচেষ্ট হয়েছিল-তাদেরকেই প্রকারাস্তরে রক্ষা করে চলেছে। এটা কোন আবেগজনিত অনুমান নির্ভর কথা নয়। কঠোর বা¯বÍ এবং নির্মম সত্য। আজ কথায় কথায় “ইসলামের দুশমন” বলে আখ্যায়িত করা হয়-যেমনটি করা হতো পাকিস্তান আমলে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের কর্মীদেরকে ১৯৫২ সালে-মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ১৯৭১ সালে। হুবহু মিলে যায় এই আওয়াজ। এর সন্দেহাতীত কতকগুলি প্রমাণ দেওয়া যেতে পারে। যেমন সবাই আমরা জানি বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তানে পরিণত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির বিজয়ের অব্যবহিত পর থেকেই পরাজিত শক্তিগুলি দেশে পালিয়ে থাকাবস্থায় মসজিদ-মাদরাসা ভিত্তিক এবং পাকিস্তান, সৌদি আরব সহ নানা দেশে গভীর ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছিল। তারই পরিণতিতে ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত করে। প্রথমে খোন্দকার মোশতাক আহমেদ এবং অত:পর ক্ষমতালোভী মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশের গতি বিপরীত মুখে পরিচালিত করতে অগ্রসর হন। তার বাস্তব প্রমাণ হিসেবে দেখা যায় পাকিস্তানী পাসপোর্টধারী জামায়াত নেতা গোলাম আজমকে ভিসা দিয়ে বাংলাদেশে এনে ভিসার মেয়াদ শেষেও অনির্দিষ্টকাল তাঁকে থাকতে দেওয়া, জামায়াতে ইসলামী সহ সকল ধর্মভিত্তিক সংগঠনকে সামরিক আইনের বিধানবলে সাংবিধানিক বৈধতা প্রদান এবং সংবিধানের শুরুতে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম” সংযোজন করা। এগুলি সবই সন্দেহাতীত ভাবে বাংলাদেশের পাকিস্তানীকরণ প্রক্রিয়া। সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা অকার্য্যকর করে দেওয়া প্রভৃতি। শেষ পেরেকটি ঠুকলেন জাতীয় ঐক্যের ও ধর্মনিরপেক্ষতার তথা বাহাত্তরের সংবিধানের বুকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সামরিক শ্বৈরশাসক আলহজ্ব জেনারেল এরশাদ ১৯৮৮ সালে “বাংলাদেশের রাষ্টধর্ম হইবে ইসনলাম” এই বাক্যটি সামরিক আইনের অধিনে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে। যদিও সেখানে লেখা থাকলো “তবে প্রতিটি ধর্মবিশ্বাসী নাগরিক নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীন ভাবে পালন করিতে পারিবেন।” জিয়াউর রহমান যেগুলি পরিবর্তন করে সেগুলি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী এবং এরশাদ যেগুলি করেন তা অষ্টম সংশোধনী হিসেবে পরিচিত হয়। হাইকোর্টে দায়েরকৃত একটি রীটের রায় দান কালে এই উভয় সংশোধনীকেই বে-আইনী ঘোষণা করা হয় এবং ফলে “বিসমিল্লাহ”, “ধমর্ভিত্তিক রাজনীতি বৈধ করণ” এবং “রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম” প্রভৃতি সবই অসাংবিধানিক ও বে-আইনী বলে ঘোষণা করে এক ঐতিহাসিক রায় পদ্রান করা হয়। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি আপিল দায়ের করা হলে উভয় পক্ষের শুনানী অন্তে সর্বোচ্চ আদালত হাই কোর্টের রায় বহাল রাখেন এবং বলেন উভয় সামরিক শাসকই অবৈধ কারণ তাঁরা নির্বাচিত প্িরতনিধি ছিলেন না। ফলে তাঁদের আনীত পঞ্চম ও অষ্টম সংশোধনীও যেহেতু সংসদ কতৃর্ক অনুমোদিত হয়, অবৈধ সামরিক আইনের মাধ্যমে ঐ দুটি সংশোধনী জারী করা হয়েছে-তাই-ঐ উভয় সংশোধনীই অবৈধ এবং তার বৈধ কার্য্যকরীতা বিন্দুমাত্রও নেই। এই ঐতিহাসিক রায় গোটা জাতি কর্তৃক অভিনন্দিত হয়। রায়ে আরও বলা হয়, যেহেতু উভয় সামরিক শাসকই জোর করে বা বে-আইনী পন্থায় এবং জনগণের দ্বারা নির্বাচিত না হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছিলেন, সেই হেতুৃ তাঁরা উভয়েই “রাষ্ট্র দ্রোহী” বলে আইনত: বিবেচিত হবেন। কিন্তু যেহেতু জেনারেল জিয়াউর রহমান জীবিত, সেই হেতু তাঁকে বাদ দিয়ে জীবিত থাকা হুসায়েন মোহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র “রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ মোকর্দমা দায়ের করতে পারেন। এই যুগান্তকারী রায়টি প্রকাশিত হওয়ার পর তা সরকারী গেজেটে প্রকাশ করলেই রায়টি আইনে পরিণত হতো এবং বিবেচিত হতো যে, ১৯৭২ এর সংবিধান অটোমেটিক্যালি পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। কিন্তু সরকারের সর্বোচ্চ মহল তা চাইলেন না। ব্যাপক জনমতকে উপেক্ষা করে, আদালতের রায়কে অশ্রদ্ধা জানিয়ে সংসদে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী নামে একটি সংশোধনী পাশ করা হলো যার ফলে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাশ্রয়ী বাহাত্তরের বঙ্গবন্ধু অনুমোদিত সংবিধান কার্য্যত: প্রত্যাখ্যান করে জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত “বিসমিল্লাাহ” ও জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মাশয়্রী দল ও সংগঠনগুলিকে বৈধতা দানকারী পঞ্চম এবং আলহজ্ব জেনারেল হুসায়েন মোহাম্মদ এরশাদ কর্তৃক পব্রতির্ত অষ্টম সংশোধনীকে বহাল করে পুনরায় “রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে” পুনর্বাসন করা হলো। আবার ঐ পঞ্চদশ সংশোধনীতেই “ধর্শনিরপেক্ষতা” শব্দটিও সংযোজন করা হলো দেশ-বিদেশের কোটি কোটি ধর্মনিরপেক্ষতার প্রকৃত আস্থাবান মানুষকে বিভ্রন্ত করার জন্য-যদি ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং তথাকথিত পঞ্চম ও অষ্টম সংশোধনীর বিধানাবলী স্পষ্টতই সাংঘাতিক। খোদ পাকিস্তান ও অপরাপর মুসলিম দেশেও এহেন ভাঁবতাবাজ দেখা যায় না। মুক্তিযুদ্ধের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি এমন অশ্রদ্ধা কদাপি কল্পনা করা যায় নি। এর পরিণতিতে কি দাঁড়ালো? ক্রমান্বয়ে জামায়াত-শিবিরের ভয়াবহ উদ্দ্যান, হেফাজতের বিশাল সমাবেশ, হরতাল, গাড়ী পোড়ানো এবং মানুষ পুড়িয়ে মারার মহোৎসব কয়টি বছর ধরে। আজও সম্ভবত: হিসাব নিকাশ করা হয় নি ঐ কয় বছরে আসলে বাংলাদেশের সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত? যারা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে নিজ নিজ অফিস বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল-যারা আশ্রয় নিতে সুরু করেছিলো আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে (আওয়ামীলীগও ফুলের তোরা দিয়ে নিজ দলে তাদেরকে কুষ্টিয়া, পাবনা সহ বহু জেলাতেই স্বাগত জানিয়ে দলের সদস্যপদ দিয়েও ছিলো) তারা আজও বেপরোয়া। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতিবাদে তারা দিব্যি হরতাল ডেকে বসেন-মানুষ তাতে সাড়া দেয় না সেটা ভিন্ন কথা। নিত্যদিন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা খুন হচ্ছেন-তাদের সম্পত্তি জোর করে অন্যেরা দখল করে নিচ্ছে, মন্দির ভাংছে, মূর্তি ভাংছে অথবা আগুন দিয়ে সব পুড়িয়ে দিচ্ছে-দলে দলে সংগোপনে হিন্দরা প্রাণভয়ে দেশত্যাগ করছেন মুক্তিযুদ্ধের ৪৫ বছর পরে এটা ভাবতেও কষ্ট হয় । ব্লগার নামক কবি-সাহিত্যিক মুক্তমনা লেখকেরা খুন হচ্ছেন প্রকাশ্যে দিবালোকে-কিন্তু তার বিচার নেই। তাঁদের গায়ে “নাস্তিক” লেবেল এঁটে দিব্যি তাঁদের খুনগুলি বিচারের আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ দ-বিধি আইন বা অন্য কোন আইনে “নাস্তিক” হওয়ার শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয় নি। অবস্থাটা এমনই দাঁড়িয়েছে-কাউকে “নাস্তিক” বলতে পারলেই হলো-তাকে হত্যা করাটা যেন বৈধ। শুধুই কি তাই? হত্যাকারী কোন আসামী বা অভিযুক্ত ব্যক্তি কোন ভাবে ধরা পড়ে গেলে তাকে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় “বন্দুক যুদ্ধে নিহত” হওয়ার অলৌকিক কাহিনী আজ কারও কাছেই বিশ্বাসযোগ্যতা পাচ্ছে না। সকলেই বিশ্বাস করেন হত্যার পেছনে থাকা রাঘব বোয়ালদের চেহারা উন্মোচিত হবে এই আশংকায় তাদেকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হচ্ছে। মাদারীপুর সরকারী নাজিকম উদ্দিন কলেজের তরুণ অধ্যাপক রিপন কুমার চক্রবর্তীকে হত্যা প্রচেষ্টার কালে ঘটনাস্থলের অতি নিকট থেকে লোকে একজনকে ধরে পুলিশের হাতে দিলো-তাকে আদালতে হাজির করে হেফাজতে রাখার প্রার্থনা জানালে আদালতও তা মঞ্জুর করলো। ঐ অবস্থায় হত্যা-যেন আমরা একটা মগের মুল্লুকে অসহায় ভাবে বাস করছি। একই ঘটনা ঘটলো অভিজিত রায়ের হত্যার এক আসামীর ক্ষেত্রেও। তাই মনে হয় সরকার এটাকেই যেন একটা নীতি হিসেবে গহ্রণ করেছেন। সংখ্যালঘু নির্য্যাতন ডালভাত। এদের নির্য্যাতনের হাজার ঘটনা থাকলেও একটি ক্ষেত্রেও কোন বিচার নেই। অথচ অহরহ আমরা কর্তাব্যক্তিদের মুখ থেকে শুনী “বাংলাদেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক” এবং আরও শুনি “বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা অত্যন্ত নিরাপদে আছেন”। তাই প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোন পথে? এনে পড়ে-রোম পুড়ছে আর নীরো বাঁশী বাজাচ্ছে।


  • প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এরসম্পাদকীয়নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবেনা।

কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!