লাইসেন্স দেখছিল শিক্ষার্থীরা; গাড়ি ভাঙছিল ‘ছাত্রলীগ’!
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
তৃতীয় দিনের মতো রাজধানী ঢাকার রাজপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা বাস-ট্রাক-প্রাইভেট গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনের লাইসেন্স চেক করে দেখছে। লাইসেন্স না পেলে সেই গাড়ির চাবি আটকে রাখছে তারা। কোনোরকম সহিংসতা ছাড়া স্বতঃস্ফুর্ত এই আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদের তৎপরতা এটুকুই। কিন্তু তাদের এই সরলতার সুযোগ নিচ্ছেন অনেকেই। যেমনটা নিয়েছেন ‘ছাত্রলীগ’ পরিচয়ধারী এই যুবক।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল শিক্ষার্থীরা। তারা বাসের লাইসেন্স চেক করতে করতে সার্ক ফোয়ারার মোড়ে এসে একটি বাস আটকায় তারা। ‘স্বাধীন পরিবহন’ নামের ওই বাসটির চালকের বয়স সর্বোচ্চ ১৩ থেকে ১৪! স্বাভাবিকভাবেই লাইসেন্স থাকার কোনো কারণ নেই। ইউনিফর্ম পরা ছেলেরা গাড়টি আটকে যাত্রীদের নেমে যেতে অনুরোধ করে। যাত্রীরাও বিনা প্রতিবাদে নেমে যায়। এরপরেই ঘটে সেই ঘটনা!
হঠাৎ করেই সাধারণ পোশাক পরা এক যুবক (যার বয়স আন্দোলনকারীদের চেয়ে অনেক বেশি) এসে একটা ইট কুড়িয়ে নিয়ে বাসের সামনের কাঁচে ছুড়ে মারে। ঝুর ঝুর করে ভেঙে পড়ে কাঁচ। ছাত্ররাই ওই যুবককে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আন্দোলনকারীরা চিৎকার করে বলছিল, ‘আমরা গাড়ি ভাঙার আন্দোলন করছি না; তুই গাড়ি ভাঙলি ক্যান?’
পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে। নাঈম আহমেদ নামের ওই যুবক নিজেকে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দেয়। সে বেশ কয়েকবার নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সে নিজেকে হবিগঞ্জ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে দাবি করে। কিন্তু পুলিশ তাকে শেষ পর্যন্ত হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। ছাত্ররা নিজেদের মতো আবারও গাড়ির লাইসেন্স চেক করতে থাকে। নাঈম সংগঠনের কর্মী কিনা- এ বিষয়টি হবিগঞ্জ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করতে পারেনি। উৎস-কালের কন্ঠ ।