লিজাকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গলা টিপে হত্যা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
সৈয়দ মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
গত ১৫ জুলাই শনিবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় বের হয় লিজা আক্তার (১১)। এসময় আসামী ফরিদ শেখ (৪০) ও জাকির শেখ (৩০) অসৎ উদ্দেশ্য চারিতার্থ করার জন্য লিজাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে আসামী জাকির শেখের মামা আলাউদ্দিন শেখের ঘরের ভিতর নিয়ে গিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে, ফরিদ লিজার গলা টিপে হত্যা করে এসময় জাকির দু’পায়ে চাপরে ধরে রাখে। পরে ঐদিন রাত ৮টার দিকে দুজনে মিলে লিজার মরদেহটি কাঁথা দিয়ে মুড়িয়ে ভ্যানে করে সখিপুর থানার ছৈয়ালকান্দি গ্রামের বুলবুল সরদারের পাট খেতের পানিতে ফেলে রেখে চলে যায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কথাগুলো বলেছে আসামী ফরিদ শেখ। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মলেনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ এহসান শাহ।
এসময় তিনি আরো বলেন, লিজার লাশের ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সাবরিনা খান ও এহসানুল হক সাংবাদিকদের যে তথ্য দিয়েছেনতা ভূল। তারা সদ্য পাশ করে এসেছেন এবং এ সম্পর্কে অভিজ্ঞ নয় বলে তারা মরদেহ দেখে আতংকিত হয়ে ভুল তথ্য প্রদান করেছেন। আমরা অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলেছি তারা জানিয়েছে মরদেহটি প্রায় সপ্তাহ খানিক পানি কাদায় থাকার করণে পঁচন ধরে লিজার জরায়ু, লিভার, ফুসফুস, কিডনি ও হৃদযন্ত্রসহ শরীরের গুরুপ্তপূর্ণ অঙ্গ পচে যেতে পারে। শরীরের নরম অংশগুলো শিয়াল, গুঁই সাপ ও কাদায় খেয়ে ফেলতে পারে এ পর্যন্ত আমাদের ধারণা।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আব্দুল হান্নান , পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান, শরীয়তপুর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সাহা, সখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দসহ পুলিশ সদস্য ও জেলার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই শনিবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় বের হয় লিজা। সন্ধ্যা হয়ে গেলে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবার। পরে সখিপুর থানায় একটি জিডি করা হয়।
আটদিন পর গত ২২ জুলাই শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সখিপুর ইউনিয়নের ছৈয়ালকান্দি গ্রামের একটি পাট খেতের পানিতে লিজার মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। সখিপুর থানায় খবর দিলে লিজার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশের ময়নাতদন্ত করার জন্য মরদেহটি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় গতকাল ২৩ জুলাই লিজার বাবা লেহাজ উদ্দিন শেখ বাদী হয়ে সখিপুর থানায় ফরিদ ও জাকিরের বিরুদ্ধেএকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা অনুযায়ী রোববার বিকেলে ফরিদকে ও সোমবার সকালে জাকিরকে সখিপুর থানার সরদারকান্দি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
- কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।