শামসুর রহমান খান শাহজাহানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শামসুর রহমান খান শাজাহানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে ৷গত ২রা জানুয়ারি (বুধবার)তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচির আয়োজন করে ৷ ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বাসস্ট্যান্ড চত্তরে স্বরনসভার আয়োজন করা হয় ৷ পৌর আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আতাউর রহমান খান ৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান সামু, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা ও ইউনিয়নের নেত্রিবৃন্দ ৷ ২০১২ সালের এইদিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।শামসুর রহমান খান শাহজাহান ১৯৩৩ সালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বাগুন্তা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। মুজিবনগর সরকারের পক্ষে দুই নম্বর আঞ্চলিক প্রশাসন পরিচালনা করেন তিনি। ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা এ আঞ্চলিক প্রশাসনের অধীনে ছিল এবং এই অঞ্চলের সকল নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য উক্ত দুই নম্বর আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের সদস্য ছিলেন।শামসুর রহমান খান শাহজাহান মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ১১ নং সেক্টরের নর্থ ইস্ট জোনে এবং আঞ্চলিক প্রশাসন কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুজিবনগর সরকারের অধীনে ভারতে সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।শামসুর রহমান খান শাহজাহান ১৯৫৪ থেকে ৫৬ সালে পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৬৫ থেকে ৬৬ সাল পর্যন্ত টাঙ্গাইল মহকুমা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৭৯ এবং ১৯৮৬ সালে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।জীবদ্দশায় রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি বই রচনা করেন। তার মধ্যে ‘মুক্তিযুদ্ধের ডায়েরি, চিঠি ও স্মৃতিচারণ’ এবং ‘কেউ দাবায়ে রাখতে পারবানা’ অন্যতম। তার রচিত ‘কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না’ নামে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক্ত নাটক রচনা করেছেন যা বহুবার মঞ্চস্থ হয়েছে।