শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় ছেলেকে হত্যা!
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ‘পরকীয়ার জেরে’ ৯ বছর বয়সী ছেলেকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার মা শেফালী বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট-২ আদালতের বিচারক মেহেদি হাসানের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি।
শুক্রবার উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী শেফালীকে সন্তান হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আসামি শেফালী বেগমের জবানবন্দির বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছৈন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল কাসেম।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে তিনি জানান, স্বামী বিদেশ থাকায় প্রায় দুই বছর আগে শেফালী বেগমের সঙ্গে মোমেনের সখ্যতা গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং মোমেন গোপনে মোবাইলে শেফালীর আপত্তিকর ছবি তুলে তাকে ব্লাক মেইল করে অবাধ মেলামেলা করতে থাকে।
এসআই জানান, মোমেন ক্যাডার হওয়ায় আশপাশের লোকজন এ ব্যপারে কিছু বলার সাহস পেত না। তবে বিষয়টি সবার মুখে মুখে ছিল।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মোমেন শেফালীর ঘরে এলে এক পর্যায়ে গভীর রাতে শিশু সন্তান হৃদয় হঠাৎ ঘুম খেকে জেগে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোমেন ও শেফলী শিশু হৃদয়ের শ্বাসরোধ করে কাথা মুড়িয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
আবুল কাসেম জানান, মুহূর্তেই হৃদয়ের শরীর ঝলসে পাশে থাকা তার ছোট ভাই জিহাদের গায়ে আগুন লেগে যায়। হৃদয় দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এর মধ্যে মোমেন দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়।
শেফালী এই হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রেমিক মোমেনকে বেশি দায়ী করেছেন বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক জানান, প্রায় ১১ বছর আগে বাড়ৈপাড়ার বিল্লালের ছেলে প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কেরানীগঞ্জের সুন্দর আলীর মেয়ে শেফালীর বিয়ে হয়। পরে তাদের দুই ছেলের জন্ম হয়।
তিনি জানান, আনোয়ার বিদেশে থাকার সময় মোমেনের সঙ্গে পরকীয়া জড়িয়ে পড়েন শেফালী। ওই হত্যাকাণ্ডের পর শেফালীকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়।