বাংলাদেশে শিকড় গেরেছে আই.এস?
সিডনীর কথামালা-২০
রণেশ মৈত্র (সিডনী থেকে)
সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ
E-mail:raneshmaitra@hmail.com
শিরোনামে বর্ণিত প্রশ্নটি বড়ই নাজুক। বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ, র্যাব প্রভৃতি বাহিনী থেকে শুরু করে মন্ত্রী সভার সদস্যরা নিত্যদিনকার ভাষণে মাসের পর মাস ধরে বলে চলেছেন, বাংলাদেশে আই.এস-এর কোনরকম অস্তিত্ব নেই-আবার একই সাথে দেশী-বিদেশী মিডিয়া দিব্যি তাদের প্রকাশিত খবরে জানাচ্ছে ঐ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বাংলাদেশে শুধু সক্রিয় তাই নয়-তারা বাংলাপদেশের মাটিতে শেকড় গেরেছে।
৫ আগষ্ট প্রকাশিত ঢাকার বিখ্যাত ইংরেজী দৈনিক দ্য ডেইলী স্টার আমেরিকার ন্যাশনাল ব্রডকাষ্টিং কর্পেরেশন (এনডিসি) এক খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে জানাচ্ছেন, “মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী জঙ্গী সংগঠন আই এস বাংলাদেশে তাদের কার্য্যক্রমের বিস্তারই শুধুমাত্র ঘটায় নি-তারা ঐ দেশে রীতিমত শিকড় গেড়ে বসেছে”।
হোয়াইট হাউজের একটি দলিল দেখিয়ে এন বি সি আরওে বলেছেন যে এ যাবতকাল পর্য্যন্ত ঐ জঙ্গী সংগঠন আই.এস. তাদের কার্য্যক্রম ১৮টি দেশে সম্প্রসারিত করেছে আর তার মধ্যে ছয়টি দেশে আই এস রীতিমত শেকড় গেড়ে বসেছে। এই ছয়টি ধেশের একটি হলো বাংলাদেশ। অপর পাঁচটি দেশ হলো ইন্দোনেশিয়া, মিশর, মালি, ফিলিপাইন ও সোমালিয়া। গত বছরের হিসাবে ১৩ টি দেশে আই. এস. তার কার্য্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটিয়েছে বলে এই সূত্রে জানানো হয়েছিলো। বিগত মাসের মধ্যেই তারা আরও তিনটি দেশে তাদের কার্য্যক্রম ছড়াতে সক্ষম হয়েছে।
প্রখ্যাত আমেরিকান সংবাদপত্র “নিউইয়র্ক টাইম্স্” ও তার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে আই.এস. বাংলাদেশে, ইন্দোনেশিয়ায় ও মালয়েশিয়ার (এশিয়ার মধ্যে) শেকড় গেড়েছে।
এন. বি. সির সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ বিষয়ক পর্য্যবেক্ষক ম্যালকম ন্যান্স উল্লেখ করেছেন যে আই সিস ((isis) তাদের কার্য্যকলাপের এলাকার মানচিত্র
এমেল:ই সম্প্রসারিত করেছে কাজেই সিরিয়া-ইরাকের আই.এস বিরোধী যুদ্ধের যতটুকু সফলতা অর্জিত হয়েছে তাতে আদৌ নিশ্চিন্ত না হয়ে আই-এস বা আই সি বিরোধী যুদ্ধের এলাকাও নিষ্ঠার সাথে সম্প্রসারিত করে চলা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলিতেও জঙ্গীদের ব্যাপারে এ যাবত যতটুকু খবরাখবর প্রকাশিত হয়েছে-তার ভিত্তিতে খবরগুলিকে গভীরভাবে পর্য্যালোচনা করলে দেখা যাবে সেই আফগানিস্তানে রুশ-প্রভাবিত সরকারের পতন ঘটানোর জন্য যে “ইসলামী জেহাদ ও সন্ত্রাসকে” আমেরিকা লেলিয়ে দিয়েছিল তখন থেকেই বাংলাদেশের কিছু উগ্রপন্থী আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সাথে যুক্ত হয়ে বিদেশে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রভৃতি সি. আই. এ ও পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আই.এস-এর মাধ্যমে গ্রহণ এবং ঐ জঙ্গী সংগঠনগুলিতে ভর্তি হতে শুরু করে। তখন এই বিষয়টার প্রতি তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় নি। কিন্তু এমন যে পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে ঐ বিদেশ গমন প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে তখন থেকেই এবং তার সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একটি অনলাইন পত্রিকা খবর দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আরও জানা যায়, ডাক্তার, শিক্ষক, ব্যবসায়ী নির্বিশেষে অনেকেই সপরিবারে নিজের স্ত্রী, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে সহ জিহাদে যোগদানের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের ইরাক, সিরিয়া প্রভৃতি দেশে গিয়ে আই.এস-এ যোগ দিয়েছেন। র্যাব, পুলিশ প্রতিদিনই এভাবে দেশত্যাগীদের সন্ধান করে চলেছে-এ প্রক্রিয়া দীর্ঘ মেয়াদী কারণ সারা দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা তেমন একটা সহজ ব্যাপার নয়।
শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে এ ব্যাপারে হিমসিম খেতে দেখা যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে যে শিক্ষার্থীরাই শুধু নয় শিক্ষক-শিক্ষিকারাও দেশত্যাগী এবং জঙ্গী বিস্তারে উৎসাহদাতা এমন বহু তথ্যও উদঘটিত হচ্ছে। কাউকে কাউকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হচ্ছে। ফলে দেশী-বিদেশী, বিশেষ করে বিদেশী নাগরিকেরা বাংলাদেশে তাঁদের নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন এবং সর্বোপরি একরে পর এক ইউরোপীয় দেশগুলিতে আই,এস, এর ভয়াবহ হামলা এবং অতি সম্প্রতি আমেরিকার শক্তিশালী পুলিশ বাহিনীর একজন কর্মকর্তাকেও যখন আই,এস এর সহযোগী সন্দেহ করে তাকে চাকুরীচ্যুত করে প্রমাণাদি সংগ্রহ করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে-তখন বাংলাদেশে একটি (ইন্দোনেশিয়ার মত) এবং যেখানে জামায়াতে ইসলামী হেফাজতে ইসলামের মত সন্ত্রাসী দলের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রক্ষাকারী হিসেবে বহু পূর্বেই চিহ্নিত সে দেশে আই.এস এর অস্তিত্ব নেই এমন কথা বলা সঙ্গত কী?
ভারতীয় পত্রিকাসূত্রেও জানা যায়, আই.এস বংলাদেশে তাদের সাংগঠনিক তিত্তি গড়ে তুলেছে এবং বাংলাদেশ থেকে গিয়ে পশ্চিম বাংলাতেও অপারেশন চলাতে বা সংগঠন গড়ে তুলতে তারা অত্যান্ত সক্রিয়। অপরদিকে আই.এস. হুমকি দিয়েছে সিরিয়ায় আই.এস ঘাঁটিতে বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করে বিপুল সংখ্যক আই এস জঙ্গীকে হত্যা করায় তারা রাশিয়ায় ধ্বংশলীলা চালাবে বলে টার্গেট স্থির করেছে। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী নাশকতা চালাতে তারা পরোয়া করছে না।
বাংলাদেশেও জঙ্গী কর্মকাণ্ড আজকের ঘটনা নয়। যশোরে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর জাতীয় সম্মেলনের উপরে দুর্ধর্ষ হামলা এবং রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে গ্রেনেড হামলা করে উভয় স্থানেই বিপুল সংখ্যক মানুষ হত্যা; ২১ আগষ্ট শেখ হাসিনার জনসভায় (বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে) গ্রেনেড হামলা করে বহু সংখ্যক মানুষ হত্যা ও একটুর জন্যে শেখ হাসিনার প্রাণরক্ষার ভয়াবহ ঘটনাবলী, “নাস্তিক বলে আখ্যায়িত করে বহু সংখ্যক ব্লগার, সাহিত্যক, প্রকাশক, পুরোহিত, ইমাম হত্যা মোহররম উৎসবের প্রস্তুতির উপর হামলা, অগণিত ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যা ও হুমকি, গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারী নামক আন্তর্জাতিক মানের রেষ্টুরেন্টে ভয়াবহ হামলা করে ২৬/২৭ জন বিদেশী নারী-পুরুষ (ইতালিয়ান ও জাপানী) একজন ভারতীয়, তিনজন বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা, শোলিকিয়ায় পবিত্র ঈদের জামাতে হামলা প্রভৃতি ঘটনা দেশের অভ্যন্তরীণ জঙ্গীরা ঘটালেও তাদের নেপথ্য শক্তি যে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবির, হেফাজতে ইসলাম নামক দেশীয় স্বাধীনতা বিরোধী জঙ্গী উৎপাদনকারী শক্তিসমূহ এবং সর্বোপরি তাদের সকল রমদ জোগানদার যে আই এস সে বিষয়ে দেশী-বিদেশী ওয়াকিবহাল মহলের মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ সরকারও বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক অবগত। নানা দেশথেকে পাঠানো গোয়েন্দা তথ্য তাঁদের হাতে। তবু তাঁরা বাংলাদেশে আই.এস এর অস্তিত্ব নেই বলে বারবার বলছেন কেন? দূরদেশ থেকে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব না হলেও এযাবত নানা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়েছি বাংলাদেশে আই,এস ঘাঁটি গেড়েছে এবং উপরে বর্ণিত অপারেশনগুলির সিংহভাগ তারাই তাদের বাংলাদেশী activist রা চালিয়েছে। তবুও সরকার কেন স্বীকার করছেন না এ প্রশ্নটি থেকেই যায়।
আমার ক্ষুদ্র চিন্তায় ধারণা করি সম্ভবত: মানুষ এতে অনেক বেশী করে উদ্বিগ্ন হবে-আবার উগ্রচিন্তা সম্পন্ন যুবকেরা আই,এস এর সন্ধানে হয়তো আরও বেশী সক্রিয় হতে পারে-এমন আশংকা থেকে আই এস এর অস্তিত্ব অস্বীকার করে কার্যত: বিষয়টি গোপন রাখছেন। কিন্তু তা না রেখে সত্য তথ্যগুলি জনগণকে অবহিত করলে তাঁরা আতংকিত নয় উদ্বেগের সাথে আরও সচেতন হবেন-সতর্ক হবেন এবং তাদের বা যে কোন জঙ্গী বা জঙ্গীর আন্তানা সম্পর্কে কোন তথ্য জানামাত্র তাঁরা পুলিশকে তা অবহিত করতে তৎপর হবেন নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থেই।
ইতোমধ্যে আমাদের আই. জি. পি একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক কথা বলেছেন-জানি না কেন তিনি কথাটি এভাবে বলতে পারলেন। তিনি বলেছেন, পত্রিকায় দেখলাম গত ৭ আগষ্টে যে “ইসলাম বিরোধীরা জঙ্গীপনা করছে”। এতে মারাত্মক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে যা তাঁর ভাবা উচিত ছিল ঐ কথাটা বলার আগে। যে তরুণেরা জঙ্গীপনায় লিপ্ত তারা ইসলাম-বিরোধী এর অর্থ কি তবে এমন নয় যে, অমুসলিম তরুণেরা জঙ্গীপনা করছে, সন্ত্রাসী কার্য্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে? এমন কথাবলার ফলে তো দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নতুন করে আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু তিনি যদি বলতেন কিছুসংখ্যক বিভ্রন্তি তরুণ মুসলিম বিপথগামী হয়ে জঙ্গীপনা করছে-তবেই তাঁর বক্তব্য নিরাপদ হতো। এবং এটাই সত্য।
আবার তিনি একই সাথে অহেতুক ব্লগারদেরকেও উগ্রবাদী বলে আখ্যায়িত করেছেন। এর ফলে প্রকৃত জঙ্গীরাই যে উৎসাহিত হয় এবং তারা যে আরও বেশী করে ব্লগার নিধনে উৎসাহী হবে না তার কোন নিশ্চয়তা আছে কি? মনে হচ্ছে তিনি জঙ্হী ও ব্লগারদেকে এক কাতারে ফেলছেন। এটা কি তাঁর ব্যক্তিগত মত না কি সরকারের মত? ঐদি সরকারের মত হয় তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মুখ দিয়ে কথাগুলি বের হলেই ভাল হতো এবং সেটাই নিয়ম। সরকার নির্ধারিত নীতিগত বিষয় প্রকাশের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কোন পুলিশ কর্মকর্তার নয়। যদি এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত হয় তাও তিনি আদৌ অধিকারী নন। কে মুসলমান-কে মুসলমান না-কে ঈশ্বররের অস্তিত্বে বিশ্বাসী-কে নাস্তিক তা তিনি দেখতে বা বলতে পারেন না কারণ সংবিধানে সকল নাগরিক সমান বলে ষ্পষ্টাক্ষরে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অমুসলিম বা সংখ্যালঘু বা নাস্তিক বলে সংবিধানে কিছু লেখা নেই। লেখা আছে, আইনের চোখে সকলেই সমান এবং সকল নাগরিক বাংলাদেশে সমান অধিকার ভোগ করবেন। তাই তাঁর ঐ উক্তিগুলি আদৌ সংবিধান সম্মত নয়।
দৈনিক প্রথম আলো সম্ভবত: আগষ্টের ৪,৫ ও ৬ তারিখে বাংলাদেশে জঙ্গী উত্থান সম্পর্কে তাদের অনসুসন্ধানী প্রতিবেদনের সিরিজ প্রকাশ করে অনেক তথ্য তার পাঠক-পাঠিকা তথা দেশবাসীর সামনে উন্মোচিত করেছে এবং ৬ আগষ্টের সংখ্যায় পত্রিকাটি আই. এস. এর শেখড় বাংলাদেশে গাড়ার কাহিনীও প্রকাশ করেছে। সরকার প্রতিবাদ করে নি বরং উপকৃত হয়েছে বলে আমি মনে করি। তদুপরি সিঙ্গাপুর সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কয়েক দফায় সেখানে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আই. এস-এর সাথে সংশ্লিষ্ট বলে প্রমাণের ভিত্তিতে অন্তত দুই দফায় বেশ কিছু সখ্যক বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠিয়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকজনকে তারা সিঙ্গাপুর আদালতে বিচারের জন্য পাঠালে নানা মেয়াদে তথ্যকার আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে শাস্তি দিয়েছেন এবং শাস্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী শ্রমিকেরা সিঙ্গাপুরের কারাগারে এখন তাদের সাজা খাটছে।
তাই অস্তিত্ব অস্বীকার না করে আই. এস. যে বাংলাদেশে একের পর হত্যালীলা ও নাশকতার মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে জোর করে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছে এবং একটি ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে কাজে লিপ্ত আছে এ বিষয়ে সরকার অনবহিত নন। সচেতন দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশেীরাও তাই উদ্বিগ্ন।
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।