দিনাজপুরে বেগম খুরশীদ জাহানের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন খালেদা জিয়া!
দিনাজপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দিনাজপুরে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। এ আলোচনায় দিনাজপুরের ৬ টি আসনেই রয়েছেন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির পক্ষে-বিপক্ষে কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। এর মধ্যে খোদ দিনাজপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় আলোচনার শীর্ষে রয়েছে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম। এ নিয়ে দিনাজপুরে সাধারন ভোটার থেকে নেতা-নেত্রী পর্যায়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। ওই আসনে খালেদা জিয়ার বোন বেগম খুরশিদ জাহান হক চকলেট- এর মৃত্যুর পর সর্বশেষ জোটগতভাবে নির্বাচন করেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান নির্বাচন করেন। বর্তমানে বিএনপি ও জোটের এ এই দুই প্রার্থীই ইন্তেকাল করার কারনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের দাবি অনুযায়ী এ আসনে নির্বাচন করবেন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম। বিকল্প হিসেবে সাবেক মন্ত্রী মরহুমা বেগম খুরশিদ জাহান হক চকলেটের বড় ছেলে শাহরিয়ার আকতার হক ডন ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের নাম শোনা যাচ্ছে।
অন্যদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও বর্তমান হুইপ এম ইকবালুর রহিম এমপি। দিনাজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ওবর্তমান এমপি মনোরঞ্জনশীল গোপালের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. আবু হোসাইন বিপু ও বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাকারিয়া জাকা ও সাবেক এমপি ও বীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের নামও শোনা যাচ্ছে। এর আগে তিনি ১৯৯১ সালে এ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি মনজুরুল ইসলাম মনজু। সেখানে জামায়াত সমর্থিত বীরগঞ্জ পৌর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ এবং জাতীয় পার্টির বীরগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলামের নাম বলছেন কেউ কেউ। দিনাজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান এমপি খালিদ মাহমুদই একক প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি এলাকার উন্নয়নে তিনি ফিরিস্তি তুলে ধরে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করছেন। আগামী নির্বাচনে দলের পক্ষে ভোটও প্রার্থনা করছেন। তার বিপরীতে এ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান (অব.) দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে নেতা-কর্মীদের বড় অংশই বলছেন। এ ছাড়াও বোচাগঞ্জ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম ও স্থানীয় নেতা সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাকের নামও শোনা যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ড. আনোয়ার চৌধুরী জীবন ও স্থানীয় নেতা অ্যাডভোকেট জুলফিকার হোসেনের নামও আলোচনায় রয়েছে।
দিনাজপুর-৪ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মানুর নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে সাবেক হুইপ বিভিন্ন মিছিল মিটিংএ অংশগ্রহন পূর্বক চিরিরবন্দর- খানসামার প্রতিটি এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এদিকে খানসামার আওয়ামীলীগ ত্যাগী নেতাদের বঞ্চনা ও অবহেলা করার কারনে তৃনমুল নেত্রীবৃন্দ মানুকে গভীরভাবে অনুভব করছে। অন্যদিকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি আখতারুজ্জামান মিয়ার পাশাপাশি বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে। এদিকে জাগপা থেকে আশরাফ আলী খান বিশ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে চিরিবন্দর খানসামায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টি (জাপা) ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলী শাহ্ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। দিনাজপুর-৫ আসনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিএনপি থেকে জেলার আহ্বায়ক এ জেড এম রেজওয়ানুল হকও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। অন্যদিকে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মনসুর আলী সরকার নির্বাচনে থাকার চেষ্টা করছেন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা সোলায়মান সামিও সম্ভাব্য প্রার্থী। দিনাজপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মরহুম মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে বর্তমান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শিবলি সাদিক আগামীতেও নির্বাচন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ড. আজিজুল হক চৌধুরী, নবাবগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশী। এই আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ড্যাব মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ কে এম জাহিদ হোসেন দলীয় টিকিট পেতে পারেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লুত্ফর রহমান মিন্টু। জামায়াতের জেলা আমির আনোয়ারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও স্বপ্নপুরীর মালিক দেলোয়ার হোসেন প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।
দিনাজপুর-৪ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মানুর নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে সাবেক হুইপ বিভিন্ন মিছিল মিটিংএ অংশগ্রহন পূর্বক চিরিরবন্দর- খানসামার প্রতিটি এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এদিকে খানসামার আওয়ামীলীগ ত্যাগী নেতাদের বঞ্চনা ও অবহেলা করার কারনে তৃনমুল নেত্রীবৃন্দ মানুকে গভীরভাবে অনুভব করছে। অন্যদিকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি আখতারুজ্জামান মিয়ার পাশাপাশি বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে। এদিকে জাগপা থেকে আশরাফ আলী খান বিশ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে চিরিবন্দর খানসামায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টি (জাপা) ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলী শাহ্ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। দিনাজপুর-৫ আসনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিএনপি থেকে জেলার আহ্বায়ক এ জেড এম রেজওয়ানুল হকও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। অন্যদিকে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মনসুর আলী সরকার নির্বাচনে থাকার চেষ্টা করছেন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা সোলায়মান সামিও সম্ভাব্য প্রার্থী। দিনাজপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মরহুম মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে বর্তমান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শিবলি সাদিক আগামীতেও নির্বাচন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ড. আজিজুল হক চৌধুরী, নবাবগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশী। এই আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ড্যাব মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ কে এম জাহিদ হোসেন দলীয় টিকিট পেতে পারেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লুত্ফর রহমান মিন্টু। জামায়াতের জেলা আমির আনোয়ারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও স্বপ্নপুরীর মালিক দেলোয়ার হোসেন প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।
- কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।