শেষ চারে রংপুর রাইডার্সও
ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ কালকের দ্বিতীয় ম্যাচে ছিল না বরিশাল বুলস। তবু সিলেট সুপারস্টারসের তুমুল লড়াই হলো তাদের সঙ্গে। তাতে সিলেট ‘জিততে পারেনি’ একটুর জন্য। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড পরশু নিজেদের করে নিয়েছিল বরিশাল। কাল তা কেড়ে নেওয়ার মতো অবস্থা যে সিলেট সুপারস্টারসের! পারেনি শেষ পর্যন্ত মাত্র এক রানের জন্য।
তবে ৫৯ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচের সব উত্তেজনায় ঠিকই জল ঢেলে দিয়েছে সিলেট। একরকম নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্সের শেষ চারে উত্তরণও। পরে সাকিব আল হাসানের দল ব্যাটিংয়ে নেমে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছে মাত্র। ৯.৫ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে পৌঁছে যায় জয়ের লক্ষ্যে। পৌঁছে যায় আসলে শেষ চারে। ৯ খেলায় ১২ পয়েন্ট নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে রংপুর রাইডার্স ওঠে বিপিএলের সেমিফাইনালে।
অথচ আগের দিন এই সিলেট সুপারস্টারসই ৫৮ রানে অলআউট করে দিয়েছিল বরিশাল বুলসকে। মুশফিকুর রহিমের পরিবর্তে শহীদ আফ্রিদি অধিনায়ক হয়ে যেন তাতিয়ে তুলেছিলেন দলকে। তবে সেটি কেবল এক ম্যাচের জন্য। কাল যে আবার সেই আগের অন্ধক‚পে প্রত্যাবর্তন! আট উইকেটের অসহায় হার তারই প্রমাণ। আট খেলায় ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে চিটাগং ভাইকিংসের সঙ্গেই রইল তাই সিলেট সুপারস্টারস।
কাল আফ্রিদির দলের এই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়া কিন্তু হঠাৎ করে না। ইনিংসের একেবারে শুরু থেকে পতনের সূচনা। প্রথম ওভারেই দিলশান মুনাবীরাকে আউট করেন আরাফাত সানি। এই বাঁহাতি স্পিনার নিজের প্রথম চার ওভারেই পান একটি করে উইকেট। যার মধ্যে রয়েছে রিভার্স সুইপ করতে যাওয়া মুশফিকের উইকেটও। আর ষষ্ঠ ওভারে সাকিবের জোড়া শিকারের একজন হয়ে আফ্রিদিও যখন ফেরত যান, সিলেট সুপারস্টারসের ম্যাচ শুরু না হতেই শেষ একরকম। সানির চার ওভারে চার উইকেটের সঙ্গে সাকিবের এই দুই শিকারে যে ৩০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট!
পরের ‘লড়াই’টা হয়তো অলক্ষ্যে ওই আগের দিনের বরিশাল বুলসের সঙ্গে। তাতে কোনোমতে বরিশালের ৫৮ পেরোতে পারে, কিন্তু ৫৯ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ জয়ের আশা করা যায় না। তা দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স (৫) ও সৌম্য সরকারকে (১১) মোহাম্মদ শহীদ দ্রুত ফিরিয়ে দিলেও। সাকিবের অপরাজিত ২৯ রানে ২০ ওভারের ইনিংসে ১০ ওভারেরও বেশি অব্যবহƒত রেখে জয় নিশ্চিত করে রংপুর রাইডার্স। এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের মতো তাদেরও শীর্ষ দুইয়ের ভেতর থাকার চ্যালেঞ্জ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট সুপারস্টারস : ১১.৫ ওভারে ৫৯ (তানভীর ২০; আরাফাত ৪/১৪, নবী ৩/১৫)। রংপুর রাইডার্স : ৯.৫ ওভারে ৬০/২ (সাকিব ২৯*; শহীদ ২/১৮)। ফল : রংপুর রাইডার্স ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : আরাফাত সানী।