শ্রীলঙ্কা হামলায় গ্রেপ্তার ৮, কার্ফ্যু চলছে
আন্তর্জাতিক ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
খ্রিষ্টানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডেতে শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৮জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। এ ছাড়া আজ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার জন্য কার্ফ্যু জারি করা হয়েছে।
এদিকে আটটি হামলার মধ্যে একটি হোটেল ও একটি বাড়িতে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।
অন্য হামলাগুলোর ধরন সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আর এখনো এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ। যদিও শ্রীলঙ্কার পুলিশপ্রধান পুজুথ জয়াসুন্দরা ১০ দিন আগে এ ধরনের উগ্রবাদী হামলার সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন বলে এএফপির খবরে দাবি করা হচ্ছে, কিন্তু যে উগ্র গোষ্ঠীর কথা বলা হচ্ছে তাদের কোনো বক্তব্য আসেনি।
আজ রবিবার সকালে প্রার্থনা চলার সময় তিনটি গির্জায় এবং চারটি হোটেল ও একটি বাড়িতে সিরিজ বোমা হামলায় অন্তত ৩৫ বিদেশিসহ ২০৭ জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে তিন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। আহত হয় আরও চার শতাধিক মানুষ। প্রথমে কলম্বো ও শহরতলির তিনটি গির্জা ও তিনটি পাঁচ তারকা হোটেলে একের পর এক হামলা হয়।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার মধ্যে রাজধানীর উত্তরাঞ্চলে একটি বাড়িতে এবং দক্ষিণ কলম্বোর দেহিওয়ালায় একটি হোটেলে আত্মঘাতী হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
এএফপির খবরে দুটি আত্মঘাতী হামলার প্রত্যক্ষদর্শী বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। কলম্বোর পুলিশ সূত্র উদ্ধৃত করে এএফপি জানায়, সর্বশেষ অর্থাৎ অষ্টম হামলাটি হয় রাজধানীর উত্তরাঞ্চলে একটি বাড়িতে। অনুসন্ধানের জন্য পুলিশ ওই বাড়ির ওপর তলায় গেলে তখন সেখানে একজন সন্ত্রাসীও ঢুকে পড়ে এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন পুলিশ সদস্য নিহত হন।
অন্য আত্মঘাতী হামলাটি হয় সিনামন গ্র্যান্ড হোটেলে। ওই হোটেলের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি জানায়, বোমাসহ এক লোক ওই হোটেলের রেস্তোরাঁয় ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটায়।
যদিও শ্রীলঙ্কার পুলিশপ্রধান পুজুথ জয়াসুন্দরা ১০ দিন আগে এ ধরনের উগ্রবাদী হামলার সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন বলে এএফপির খবরে দাবি করা হচ্ছে, কিন্তু যে উগ্র গোষ্ঠীর কথা বলা হচ্ছে তাদের কোনো বক্তব্য আসেনি। বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়, উগ্রপন্থী মুসলিম গোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত (এনটিজে) শ্রীলঙ্কার প্রধান গির্জাগুলোয় আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করছে।