সংলাপ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি কালো ব্যাজ ধারণ
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত নাগরিক সংলাপ স্থগিত করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর পরিবর্তে ওই দিন কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ খবর জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঐক্যফ্রন্টের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত নাগরিক সংলাপ স্থগিত করা হয়েছে। পরে এর সময়সূচি জানানো হবে। ৩০ ডিসেম্বর ‘ভোট ডাকাতি’ ও ‘প্রহসনের নির্বাচনের’ প্রতিবাদের আগামী বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
মির্জা ফখরুল আরও জানান, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্রের অনুষ্ঠানে তাদের কেউ যাবেন না। চা-চক্রকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে তাঁরা মনে করেন না।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রার্থী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে গণশুনানি হবে। সেদিন সারা দিন ধরেই চলবে এই গণশুনানি। এর জন্য নির্ধারিত স্থান পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, গণফোরামের কেউ শপথ নেবেন না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটায় গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের। নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া দল ও জোটের নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। অবশ্য শুরু থেকেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলে আসছিলেন যে, তারা এতে অংশ নেবেন না।
আজকের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, ঐক্যফ্রন্টের শরিক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, গণফোরামের নেতা সুব্রত চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।