সখীপুরে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি
আনোয়ার পাশা, সখীপুর (টাংগাইল) বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের সখীপুরে হাতি দিয়ে গাড়ি থামিয়ে ও দোকন থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা। হাতি দিয়ে এমন চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা সাধারণ পথচারীরা।উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রামে ঢুকে হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চলছে এ চাঁদাবাজি। রাস্তাঘাটে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে ও বিভিন্ন দোকান থেকে ভুক্তভোগীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,বড় আকৃতির একটি হাতি। পিঠে বসে আছে ১৫ বছর বয়সের এক যুবক। যিনি হাতির শোয়ারী। রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন গাড়ি পাশাপাশি মালিককে পিঠে নিয়ে হেলে দুলে রাস্তার একপাশ দিয়ে চলছে হাতি। রাস্তার পাশের দোকানদারদের শুঁড় উঁচু করে জানাচ্ছে সালাম। এ ছাড়া হাতি রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে দেওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হন সাধারণ মানুষ। গত শনিবার, রোববার ও সোমবার সখীপুর উপজেলার পৌরশহর, কালিয়া, কচুয়া, বড়চওনা, কুতুবপুর, নলুয়া বাজারসহ ঢাকা-সাগরদিঘী রাস্তায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এ বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়।
এক পথচারি জানান,হাতিকে ১০-২০ টাকা করে দিতে হবে। কারণ হাতি শুঁড় দিয়ে চেপে ধরছে। ১০ টাকার কম দিলে তা গ্রহণ করছে না।
বড়চওনা বাজারের দোকাদার সুজাত আলী জানান, হাতি দোকানের সামনে এসে দাঁড়ালে ক্রেতারা ভয়ে দোকানে ঢুকতে সাহস পান না। বিড়ম্বনা এড়াতে দোকানদারা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে দেয়।
ওই বাজারের একাধিক লোক জানান, রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ি থামিয়েও টাকা আদায় করছে হাতি। আর টাকা পেলেই তা ধরিয়ে দিচ্ছে পিঠে বসা শোয়ারীকে। এভাবেই দোকানে দোকানে সালাম দিয়ে আদায় করছে টাকা। দোকানদারদের কেউ ১০ টাকার কম দিলে ওই টাকা না নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে হাতি। পরে টাকা পেয়ে শুঁড় দিয়ে ওই টাকা নিয়ে তার পিঠে বসা শোয়ারীকে ধরিয়ে দিচ্ছে হাতি। সেখান থেকে আরেক দোকানে গিয়ে একইভাবে টাকা আদায় করছে।
এভাবে প্রতিদিন একটি হাতি প্রায় ৪/৫ হাজার টাকার আদায় করছেন। এটা একটা ঠান্ডা মাথার চাঁদাবাজি বলে মনে করছে সচেতন মহল।