সনিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন তৃণমূল নেত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
এ বার দিল্লি এলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে চান সনিয়া গাঁধী। মমতাও চান তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। সনিয়ার রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল ওই বৈঠকের জন্য মমতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
প্রশ্ন হল, মোদী-বিরোধী জোট গড়ার প্রশ্নে এ যাত্রায় কি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গেও কথা হবে তৃণমূল নেত্রীর? তেমন কর্মসূচি নেই। যদিও কংগ্রেস সূত্র বলছে, সনিয়ার সঙ্গে মমতার বৈঠক যখন চলবে, তখন রাহুলও তাতে যোগ দিতে পারেন।
আহমেদের কথায়, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে দু’টি ফ্রন্ট হওয়া কাম্য নয়। মোদী-বিরোধী মঞ্চে আমরা সকলে একজোট হব।’’ কলকাতায় গিয়ে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও সনিয়ার দূত হিসেবে একই বার্তা দিয়ে এসেছেন।
সনিয়া শিমলায় প্রিয়ঙ্কা বঢরার পুরনো বাড়ি সংস্কারের কাজ দেখতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সম্প্রতি। তড়িঘড়ি মাকে নিয়ে দিল্লি ফিরে এসেছেন প্রিয়ঙ্কা। ১০ জনপথ সূত্র বলছে, এখন সনিয়া ভাল আছেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে সোমবার পর্যন্ত বিশ্রামে থাকবেন। সে দিন সন্ধেয় মমতার দিল্লি আসার কথা। সনিয়ার শরীর ঠিক থাকলে মমতার সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মঙ্গলবার।
তৃণমূলের সমর্থনে কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক রাজ্যসভায় নির্বাচিত হওয়ার পরে জাতীয় স্তরে কংগ্রেস-তৃণমূল কাছাকাছি এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল সূত্রের খবর, মমতা গত কাল কলকাতায় জানিয়েছেন, সনিয়ার সঙ্গে দেখা করবেন। তবে রাহুলের সঙ্গে বৈঠকের কোনও কর্মসূচি নেই। রাহুল যদি সনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের সময়ে আসেন তো ঠিক আছে। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল-মমতা দেখা করানোর চেষ্টা চলছে।
বিজেপি এখন মোদী-বিরোধী ফ্রন্ট ভাঙতে মরিয়া। মোদী-বিরোধিতার রাশ কংগ্রেসের হাতে ছেড়ে দিতে নারাজ আঞ্চলিক বা অন্য বিরোধী দলগুলি। তারা তাই আপাতত কংগ্রসকে সরিয়ে রেখেই নিজেদের মধ্যে জোট গড়ার তৎপরতা শুরু করেছে।
এই অবস্থায় কংগ্রেসের কৌশল হল, মোদীর বিরুদ্ধে একটি ফ্রন্ট গঠন করা যদি সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে কোনও ফ্রন্ট না গড়ে রাজ্যওয়াড়ি আসন সমঝোতার পথে হাঁটা। প্রয়োজনে তার জন্য একটি সমন্বয়কারী কমিটি গড়া হতে পারে। এমনকী, সেই কমিটির আহ্বায়ক করা হতে পারে মমতাকেও।
এবং এই কৌশলেরই অঙ্গ হিসেবে নির্বাচনমুখী জোটের ভাবনাকে সামনে না রেখে আপাতত সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রসঙ্গকে সামনে রাখতে চাইছে কংগ্রেস। দলের রাজ্যসভার নেতা গুলাম নবি আজাদের কথায়, ‘‘এআইসিসি অধিবেশনেই রাহুল স্পষ্ট করে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী বাছাই করা নয়, সাম্প্রদায়িকতার বিপদ থেকে দেশকে বাঁচানোই এখন বিরোধীদের কাজ। সে জন্য সমস্ত বিরোধী দলকে একজোট করাই কংগ্রেসের লক্ষ্য।’’
এখন পর্যন্ত দিল্লিতে মমতার যা কর্মসূচি, তাতে শরদ পওয়ারের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন তিনি। এ ছাড়া সংসদে এসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন। এখনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কোনও কর্মসূচি নেই।