সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নের মানদন্ড হলো এপিএ চুক্তি: ভূমি মন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে সকলকে দক্ষতার সাথে এক বছরের নির্ধারিত কাজের লক্ষ্যমাত্রা যথাসময়ের মধ্যেই সম্পাদন করতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নের মানদন্ড হলো এপিএ চুক্তি। সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়ন শুধুমাত্র চুক্তি সম্পাদনেই শেষ নয়, এ কর্মযজ্ঞ তখনই স্বার্থক হবে, যখন সরকারের ইশতেহার বা গৃহীত রূপকল্প ইতিবাচক হিসেবে দৃশ্যমান হবে।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ অধিদফতর, বোর্ড ও সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদনা চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ সংশ্লিষ্টদের এসব কথা বলেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অধিদপ্তর, সংস্থা ও বোর্ড প্রধানদের সাথে এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর করেন ভূমি সচিব আবদুল জলিল। সভাপতির বক্তব্যে ভূমি সচিব আবদুল জলিল বলেন, প্রতিটি কাজ আমরা হিসাব করে এগুচ্ছি। সঠিক সময়ের মধ্যে চূড়ান্তভাবে কার্য সম্পাদনে আমরা চুক্তিবদ্ধ। আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ঈর্ষণীয়। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রার সূচক আগামি অর্থবছরে ৭.৪ ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি শুদ্ধাচারে সংশ্লিষ্টদের পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয়টিরও নিশ্চয়তা দেন।
ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, কাজের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সঠিক সময়ের মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহতা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে কাজ সম্পাদন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সম্পদের সুষ্ঠু ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার দিকটিও সকলকে গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, দৃশ্যমান উন্নয়ন সরকারের ভাবমূর্তিকে তুলে ধরে। জনগণই আপনাদের কাজের মূল্যায়ণ করবে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পাওয়ার জন্য আমাদের ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। লক্ষ্য ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী উন্নত জাতি গড়ে তোলা। যেখানে থাকবে না ক্ষুধা ও দ্রারিদ্র্য। কিন্তু মানুষের গড়া আইন ও সমাজ ব্যবস্থার কারণেই কখনও কখনও মানুষ না খেয়ে কাটিয়েছে, বস্ত্রহীন ও আশ্রয়হীন থেকেছে, স্বাস্থ্যহীন ও শিক্ষা হতে বঞ্চিতসহ সকল ধরনের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত থেকেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে অধিকারহীন জীবন থেকে মুক্ত করতেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ এর জনযুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। দীর্ঘ ২১ বছর পর দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। একটি গণতান্ত্রিক দেশে শাসনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারণ করে থাকে ভোটের দ্বারা নির্বাচিত রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের দৃশ্যমান উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ^াসী। মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার নিয়ন্ত্রণ, প্রতিটি নাগরিককে স্বাধীন জাতি হিসেবে সুখে শান্তিতে বসবাস করার নিরাপত্তা সবকিছুই সরকারের রাজনীতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ভূমির উপর যেমন সকলের অধিকার রয়েছে, মানুষের কল্যাণের প্রয়োজনে তেমনি প্রত্যেকের অধিকার রয়েছে রাজনীতির প্রতি। সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে স্ব স্ব দায়িত্ব স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে যথাসময়ে সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।