সরকার সাহসের সাথে বন্যা মোকাবিলা করছে-দূর্যোগ ও ত্রানমন্ত্রী।
ভূপেন্দ্র নাথ রায়, দিনাজপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বাংলাদেশের তিন ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ৬৪ টি জেলার মধ্যে ২৩ টি জেলা বন্যা কবলিত। এ পর্যন্ত সারা দেশে ৪২ জন মারা গেছে। বন্যা, প্রাকৃতিক দূর্যোগে বৃদ্ধ, মহিলা ও শিশুরা যাতে সহজে যেতে পারে এজন্য আমরা ২২০টি আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করছি। ইতিমধ্যে ১২০ টির টেন্ডার হয়ে গেছে। সরকার সাহসের সাথে বন্যা মোকাবেলা করছে। আমাদের পানির সাথে বাস করতে হয়। দূর্যোগের দেশ আমাদের এ বাংলাদেশ। প্রতিবছর বন্যা হবে, খরা হবে, এরকম ঝড় হবে। আমাদের পানির সাথে লড়াই করে বাস করতে হয়। আমরা এটার জন্য কষ্ট যাতে লাঘব করতে পারি সে ব্যাবস্থা করছি— কথাগুলা বলেন বাংলাদেশ সরকারের দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন মায়া।
আজ ১৮ আগস্ট শুক্রবার দিনাজপুরের খানসামায় বন্যা দূর্গত মানুষের অবস্থা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণকালে কথা গুলো বলেন। এর আগে ৪ নং খামার পাড়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. সাজেদুল ইসলাম সাজুর বক্তৃতার আলোকে মন্ত্রী বলেন চেয়ারম্যান সাহেবের দাবীগুলো অতীব সময়োপযোগী। ইহা এ অঞ্চলের প্রাণের দাবী। প্রতিবছর আত্রাই নদীর দুইদিকের মানুষগুলো প্লাবিত হয়। তাই এখানে একটি বেড়ীবাধ দেওয়া দরকার। বৃদ্ধ, মহিলা ও শিশুদের জন্য আশ্রায়ন কেন্দ্র দরকার যেখানে তাৎক্ষণিক তিন হাজার লোক আশ্রয় নিতে পারে।
তিনি বলেন, সমগ্র দিনাজপুরে বন্যা দূর্গতদের জন্য ১৬০০ মে. টন চাল এবং ৪০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। খানসামা উপজেলায় ১০০টন চাল ও নগদ ৬ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। তার সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন দূর্যোগমন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মোস্তফা, ডিজি ইলিয়াছ আহমেদ সহ উপজেলা চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান শাহ্, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেবুর রহমান এবং উপজেলা আওয়ামীলীগ নেত্রীবৃন্দ।
- কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।