সাঁওতালরা সম্ভবত এখনো সংখ্যালঘু হয়ে উঠেনি। ওরা সাঁওতাল-ই রয়ে গেছে !
সাঁওতালেরা ইঁদুর খায়, আর ক্ষমতাসীন মাস্তানেরা সাঁওতাল খায়। হ্যাঁ, গাইবান্ধায় সম্ভবত সেরকমই খাওয়া-দাওয়া চলছে, ধুমায়া।
ব্যাপার অনেকটা মাৎস নীতির মতো। বড় মাছ ছোট কে খায়। এটাও ঠিক সেরকম। শুনে খুব একটা অবাক হইনি। দেশ জুড়েই এমনটা হচ্ছে, আরো হবে। জানা কথা। সমাজে যখন আইন-কানুনের বালা থাকেনা, ন্যায় অন্যায়ের প্রশ্ন থাকেনা, জজ সাহেবদের ফাইলের চিপায় নীতিকথা বন্দী থাকে, তখন জোর যার মুল্লুক তার। এটাই স্বাভাবিক।
ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, ঘটনার আদ্যোপান্ত জানার জন্য আজকের নামি দামি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সন খুঁটে খুঁটে দেখলাম কিন্তু পাইনি। মিডিয়া জুড়ে ট্রাম্প আর ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার খেলা! সাঁওতালদের উপর নির্যাতনের কোন নিউজ নাই। সব হাওয়া। বলা চলে, এই নিউজ ব্ল্যাক আউট। সম্ভবত সিন্ডিকেট ডিসিশান। প্রশাসনিক চাপ।
ভাবছি, সাঁওতালরা সম্ভবত এখনো সংখ্যালঘু হয়ে উঠেনি। ওরা সাঁওতাল-ই রয়ে গেছে। তাছাড়া তো হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদ চুপ থাকার কথা নয়! এ্যাটলিস্ট সুলতানা কামাল এতক্ষণে কয়েক বস্তা সুশীল নিয়ে মিডিয়ায় দেখা দেবার কথা। মুরগি বিশেষজ্ঞরা একাত্তুর টিভিতে চিবিয়ে চিবিয়ে বলার কথা- নিষ্ঠুর, আহা নিষ্ঠুর, কী নিষ্ঠুর, ইহা সাম্প্রদায়িক দেষ, ইহা মৌলবাদীদের কাজ!
কিন্তু কই? কাউকেই দেখছিনা। সবাই কেন যেন চুপ!
প্রায় ২০০ সাঁওতাল পরিবার খোলা আকাশের নীচে রাত্রি যাপন করছে। ছোট্ট শিশু থেকে অসুস্থ্য বৃদ্ধ মজলুমের আর্তনাদ তোমার চেতনায় নাড়া দেয়না। ভিটেমাটি পরিবার হারানোর জ্বালা তোমার বিবেক স্পর্শ করেনা। তুমি কেমন চেতনাবাজ হে বন্ধু? উপরের সিগনাল না পেলে তোমার চেতনা জাগেই না?
মোহাম্মাদ আল-আমিন
পিএইচডি গবেষক
কোরিয়া