সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: খুনীরা কি কোনদিন ধরা পড়বে?
বাংলাদেশে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ছয় বছরেও তদন্তে অগ্রগতি না থাকায় তাদের পরিবারগুলো হতাশা প্রকাশ করেছে। এই দু’টি পরিবারে এখন বিচার পাওয়া না পাওয়ার প্রশ্নেই সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ৫৮/এ/২, রশিদ লজ অ্যাপার্টমেন্টের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়৷ এ ঘটনায় রুনির ছোট ভাই নওশের আলম রোমান বাদি হয়ে শেরেবাংলানগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন৷ এ মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ব়্যাব তদন্ত করছে৷
মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, মামলাটির ছয় বছরেও কোনো কূল-কিনারা না হওয়ায় হতাশায় রয়েছে আমাদের পরিবার। আমরা বিচারের আশায় পথ চেয়ে আছি। সরকারের কাছে আমাদের পরিবারের প্রশ্ন, তদন্ত শেষ করতে আর কত সময় লাগবে। আমরা কি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার পাব না?
তিনি আরও বলেন, সাগর-রুনি হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে আর কত সময় লাগবে এ বিষয়ে র্যাব আমাদের কিছুই জানাচ্ছে না। আমরা চাই এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার।
প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাব এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার সময় ঐ বাসায় থাকা তাদের একমাত্র শিশু সন্তান মাহি সরওয়ার মেঘ বেঁচে যায়। ঘটনার সময় মেঘ এর বয়স ছিল সাড়ে পাঁচ। এখন সে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে।
ছয় বছর আগে হত্যাকাণ্ডের পর পরই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু ঘণ্টা, দিন, মাস, বছর অনেক সময় পার হয়ে গেছে।
তবে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা গেছে কিনা, বা কবে নাগাদ তদন্ত শেষ হতে পারে, এতবছর পরও এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর মিলছে না।