সাদা ভাত শিরোনামে লিখছি
সাদা ভাত শিরোনামে লিখছি
-মোল্লা মোঃ জমীর উদ্দিন
৭ম শ্রেণির শিক্ষা, আমাদের ইংরেজি স্যার আব্দুর রশিদ স্যার খুবই পাতলা শরীর, স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা গভীর অনুরাগী বলেই শুরুতেই স্যারকে হাজির করলাম। স্যারের ঐ ডায়লগটা ভোলা যায় না, I am the ভাজন of english. স্যার এখনও বেঁচে আছেন, তার জন্য দোয়া রইল শুভকামনা রইল নিরন্তর । All that glitter is not gold. চক চক করলেই সোনা হয়না এমন translation পরীক্ষায় আসত আমাদের সময়, তখন মুখস্থ করলেও খুব বুঝতামনা।
কেন এমন ইংরেজি শেখানো হত এর মুল অর্থ বা সারমর্ম তুলে ধরে জীবন বোধের শিক্ষাটা দেয়া হত আবারও স্যারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রসজ্ঞেই থাকছি। এখন এমন শিক্ষা আমাদের সন্তান পেলে তারাও জীবন বোধের শিক্ষাটা সাথে করে চলতে পারত বলে মনে হয়, এমন শিক্ষাক্রম জারি থাকলে হয়তো ৬৫ বছর বয়সী বুড়োর সাথে ১৮ বছরের সুন্দরী মেয়েটা নাও যেতে পারত, তাহলে নৈতিক এবং অর্থবহ শিক্ষা চালু থাকা অত্যন্ত জরুরি। আজকাল শিক্ষা নিয়ে নানা রকম রুচির আকাল দেখা যাচ্ছে। শিক্ষার আলো দিয়ে উন্নত মানবিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক সাম্য সামাজিক অর্থনৈতিক সাস্থ্যবান জীবনযাপন করবার কথা, তার বদলে কুরুচিপূর্ণ অনাচার নেশা অসামাজিক অর্থলুট অপস্কৃতি যেভাবে বিস্তার লাভ করেছে তাতে শিক্ষার ভুমিকা আজ আর ভালো ঠেকছেনা। এ সমাজ কোন কোন জায়গা থেকে বেশ্যা বৃত্তি তুলে দিয়ে খুব বাহবা নিয়েছে আমারও এমন অমানবিক নিষ্ঠুর পেশায় মানুষ থাকুক পছন্দ না তার পরও যারা পেটের দায়ে করে তাদের বিকল্প পুনরবাসন না করে ডেরা ভেঙে দেয়াটাও কম অমানবিক কিসের? অন্যদিকে দেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশে নিয়ে যারা সমগ্র জাতীর কপাল খামছে দেশকে ক্ষতবিক্ষত করে বিদেশে অবস্থান করে এটাকে উন্নত জীবন যাপন না বলে উন্নত বেশ্যালয় গড়ে তোলার সাথে তুলনা করাই ভালো , এবং এরাও মরিচিকার পিছনে ছুটছে এবং তাদের জীবন যে অন্তষারশুন্য শেষ জীবনে মানুষের অভিসাপ নিয়েই বিদায় নিতে হয়। ভাতের প্রসঙ্গে ফিরে আসার আগে সাদা সিদে সরল মন নিয়ে দু’টি কথা বলি, মামলা মোকদ্দমায় হামেশাই দেখতে পাই সরল বিশ্বাসে তিনি এই কাজটি করেছেন। সমাজে রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় চিটার বাটপার ওত পেতে থাকে কিভাবে একজন সাদামাটা সরল মানুষকে ধোকা দেয়া যায়, বোকা বানানো যায়, ক্ষতি করা যায়, যত কৌশল আছে তার সবই তারা করেন আর বোকা সরল মানুষটা ফাদে আটকে যায়।
এত গেলো আমার আপনার মত সাধারণ মানুষের কথা, অনেক অসাধারণ নেতৃস্থানীয় লোকও ধোকায় পড়তে পারেন, আপনি এখন সমাধান খুজবেন হয়তো, হ্যা আছে জ্ঞান অর্জন করতে হবে আইন কানুন সাথে করে চলতে হবে সকল সম্পর্কই আইনের আওতায় থাকতে হবে এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে ” না ” শব্দটা অব্যাস করতে হবে এবং এ শব্দের উপর অটল অবিচল থাকতে হবে।
আসি সাদা দবদবে ভাত ক্ষেতে আমাদের খুব পছন্দ আমরা যা কিছু খাই সেখান থেকে পুস্টি পাবার আসায় এবং যারা আমাদের এই ক্ষতিকর কৌলিন্যে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে তারা, যারা বড় বড় চাল কলের মালিক, তারা জাতীকে পুস্টিহীন করতেই এমন সাদার লোভে ফেলেছে, আসুন আকাশের দিকে তাকাই দেখবেন অসংখ্য সাদা মেগের ভেলা ভেসে যেতে কিন্তু কোন বৃষ্টি হতে দেখবেন না।
কাজেই চাল কলকে শাসন না করলে তারা সারাংশ ফেলে দিয়ে উচ্ছিস্টই খাওয়াতে থাকবে আর জাতী সাদা ভাত খেয়ে দিন দিন অপুস্ট জাতীতে পরিনত হবে এমন ভাত আমরা খাবার প্লেটে আশা করিনা সেই ভাত আমরা খেতে চাই যে ভাতে প্রকৃত চালের রং চেহারা বিদ্যমান।
সমাজে বাটপার লোকের সংখ্যা কম হলেও সাদাসিধা লোকগুলো শাসিত এবং শোসিত হচ্ছে সমাজে শিক্ষার হাড় শতভাগ হলেও আইন বিষয়ে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে যদিও আইন পেশায় প্রবেশ অনেক জটিল করা হয়েছে, তিন স্তর বিশিষ্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল আইন পেশায় প্রবেশ করা সম্ভব অথচ তারা কোন বেতন ভাতা পাচ্ছেনা কিন্তু বিচারক হিসেবে যারা কর্মজীবন শুরু করেন তাদের থেকে অনেক বেশী পড়াশোনা করেই পেশায় উন্নতি এবং টিকে থাকা সম্ভব। আমি মনে করি সনদ পাবার পরীক্ষা আরও সহজতর করতে হবে সমাজকে অধিকতর সেবা প্রদানের জন্যই আইন পেশাকে প্রাধান্য দিতে হবে তাছাড়া কতৃপক্ষের তো মাসিক বেতন ভাতা দিতে হচ্ছে না যার যা ক্ষমতা তার বেশি পাবার সুজোগ থাকবেনা।
বিদেশে মানুষের চরিত্র বুঝবার একটি মাধ্যম হচ্ছে তার ব্যবহৃত জিনিস পত্র যেমন সাদা গাড়ী যারা ব্যবহার করেন তাদের চরিত্র পরিস্কার বা জটিল নয় বলে প্রতিয়মান হয় আবার সচ্ছ সাদামাটা মানুষকে সামনে রেখে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ঐ মানুষের চারপাশে গেড়াটোপ তৈরি করে রাখে এবং এমন সামনে থাকা মানুষ আপনি হলে আপনার দ্বারা সমাজের প্রকৃত ভালো হবেনা এটাই স্বাভাবিক।
সসর্বপরি সাদা বক পাখির মতো দেখলেই আকৃষ্ট হবার কারন নাই বিবেচনা সামনে রেখে চলি আর হ্যাঁ আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লোভ সামলে রাখি তাহলে অনেক সমস্যাই সামনে দিয়ে হেটে চলে যাবে স্পর্শ করতে সাহস পাবেনা আসুন কথাগুলো ভেবে দেখি অনেক সমস্যা কমে যাবে।