কাদেরকে আজ সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে না
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে আজ রোববার সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে না। সিঙ্গাপুর থেকে আসা চিকিৎসক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেশের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া আজ রাত সাড়ে নয়টার দিকে কাদেরের বিষয়ে সাংবাদিকদের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিন সদস্যের চিকিৎসক প্রতিনিধিদল এসেছে। তাঁদের সঙ্গে আমাদের মেডিকেল বোর্ড বসেছে, কথা হয়েছে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাঁকে (কাদের) আজ সিঙ্গাপুর পাঠানো হবে না। তিনি এখন দুপুরের চেয়ে অনেকটা ভালো আছেন। চোখ খুলছেন, কথা বলার চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় তাঁকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কাল (সোমবার) সকাল পর্যন্ত তাঁর অবস্থা দেখব, তারপর প্রয়োজন হলে তাঁকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হবে।’
উপাচার্যের ব্রিফের কিছুক্ষণ আগে আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আপাতত তাঁকে (কাদের) সিঙ্গাপুরে নিচ্ছি না। চিকিৎসকেরা বলেছেন তাঁকে সিঙ্গাপুর নিতে হলে চার ঘণ্টা ফ্লাই করতে হবে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউর পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই।’ তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সকাল ১০টা পর্যন্ত এখানে থাকবে।
এর আগে আজ সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে বিএসএমএমইউর চিকিৎসকেরা ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা গণমাধ্যমকে জানান। তখন বিএসএমএমইউর কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী আহসান বলেন, এনজিওগ্রাম করে দেখা যায় যে তাঁর তিনটি আর্টারি ব্লক হয়ে গেছে। তাঁর আগে থেকে থাকা ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত ছিল। এর মধ্যে খুব বেশি পরিমাণ ব্লক যেটা ছিল যেটাকে এলইডি বলে সেটিকে খুলে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খুলে দেওয়ার পর তিনি সত্যিই দুই ঘণ্টা ভালো ছিলেন। এরপর তাঁর রক্তচাপ আবার কমে যায়। ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স হয়। এরপর নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁর প্রেসার নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র লাগানো হয়।
অধ্যাপক আলী আহসান বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের এখন চোখ খুলছেন। কথা বলছেন। কিন্তু ক্রিটিক্যাল স্টেজই (জটিল অবস্থা) এখনো আছে বলব।’
অধ্যাপক আহসান বলেন, এখন যে অবস্থায় আছে সেটা যদি কিছুক্ষণ স্থায়ী থাকে, তবে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলবে। নয়তো আর যে দুটি ব্লক আছে সেগুলো খুলে দিতে বাইপাস করা হতে পারে। এটা সময়সাপেক্ষ সিদ্ধান্ত।
অধ্যাপক আলী আহসান বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না। এখনো উনি ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন। এ জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।’