বাংলাদেশে দ্য সিটি ব্যাংকের সুরক্ষা জোরদারে ও দূর থেকে কার্যক্রম পরিচালনাকে কার্যকর করতে সহায়তা করবে মাইক্রোসফট ও টেক ওয়ান গ্লোবাল
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
প্রয়োজনীয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করার বিষয়টিকে সহজ করতে মাইক্রোসফটের সাথে অংশীদারিত্ব করেছে সিটি ব্যংক লিমিটেড। টেক ওয়ান গ্লোবাল এর মাধ্যমে সিটি ব্যাংক লিমিটেড এ সল্যুশন পেয়েছে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন সিটি ব্যাংক লিমিটেড তাদের কর্মীদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করেছে।
কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করার বিষয়টি সহজ করা ছাড়াও, মাইক্রোসফটের সল্যুশনগুলো গ্রাহকদের দ্রুততার সহিত বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও ব্যাংকটিকে সুবিধা প্রদান করবে। এক্ষেত্রে, ব্যাংকটি মাইক্রোসফট ৩৬৫-টিমস, অ্যাজুর এডি প্রিমিয়াম, ইনটিউন, মাইক্রোসফট ইনফরমেশন প্রটেকশন ও মাইক্রোসফট ক্লাউড অ্যাপ সিকিউরিটি ব্যবহার করবে।
এ নিয়ে সিটি ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব আইটি মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারির কারণে আমাদের বাসা থেকে কাজ করতে হয়েছে; এই পরিস্থিতিতে আমাদের অনেক ডিজিটাল সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু, সহজে ব্যবসায়িক লেনদেন ও যোগাযোগের জন্য আমাদের এই বিষয়গুলোর মোকাবিলা করতে হয়েছে। এমতাবস্থায়, মাইক্রোসফটের সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের কার্যক্রম ও নিরাপত্তার রূপান্তরে আমাদেরকে সাহায্য করেছে। আমরা প্রায় সব জায়গাতেই মাইক্রোসফট ৩৬৫ সল্যুশন ব্যবহার করেছি। এটি আমাদের কর্মক্ষেত্রকে আধুনিকায়ন ও উন্নত গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আমাদের কার্যক্রমকে সহজ করতে সাহায্য করেছে। মাইক্রোসফটের সাথে এই অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, যার মাধ্যমে আমরা আমাদের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে ব্যাংকের জন্য উদ্ভাবনী সিস্টেম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। এক্ষেত্রে, মাইক্রোসফট আমাদের সাহায্য করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।’ সিটি ব্যাংকের কর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে মাইক্রোসফট টিম, যা এই প্রতিকূল সময়ে কর্মীদের মানসিকভাবে উজ্জীবিত করেছে। মানুষকে সংযুক্ত করতে এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইতিবাচক সংস্কৃতি, পরিবর্তন, যোগাযোগের প্রবাহ বজায় রাখতেও এটি সক্ষম। অনলাইনে মিটিং অভিজ্ঞতাকেও উন্নত করেছে মাইক্রোসফট ৩৬৫। অন্যদিকে, এই প্ল্যাটফর্মটি প্রতিদিনের কার্যক্রমকেও সহজ করেছে।
ডেটার সুরক্ষা নিশ্চিত করা একটি ব্যাংকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর সিস্টেমে অনেক গোপনীয় তথ্য থাকে। মাইক্রোসফট অ্যাজুর অ্যাকটিভ ডিরেক্টরি (অ্যাজুর এডি) এন্টারপ্রাইজ আইডেনটিটি সার্ভিস একক সাইন-অন ও মাল্টি ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সরবরাহ করে, যা ৯৯.৯ শতাংশ সাইবার হামলা থেকে সিটি ব্যাংকের ডাটাকে সুরক্ষিত রাখে। এর রয়েছে সুরক্ষিত আইডেন্টিটিস, শক্তিশালী এন্ড পয়েন্ট ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট এবং সুরক্ষিত ডিজিটাল কর্মক্ষেত্র তৈরির সক্ষমতা।
এছাড়াও, মাইক্রোসফট ইনফরমেশন প্রটেকশন (এমআইপি) সিটি ব্যাংকে উন্মোচন, শ্রেণিকরণ ও সংবেদনশীল তথ্য (যেখানেই থাকুক না কেন) সুরক্ষায় সহায়তা করবে। এমআইপি সক্ষমতা ব্যাংকে এর ডাটা চিহ্নিত করার জন্য টুল, তথ্য সংরক্ষণ ও যেকোন ডাটা বেহাত হওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখবে। এছাড়াও, মাইক্রোসফট ইনটিউনের মাধ্যমে অনবোর্ড, ম্যানেজ এবং রিপোর্ট অন এনক্রিপশন, অ্যান্টিভাইরাস, ফায়ারওয়াল ও অন্যান্য নিরাপত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ডাটা সংরক্ষণ করতে পারবে।
কনফিগারেশন ম্যানেজার ব্যবহারের মাধ্যমে ডেপ্লয়িং, ম্যানেজিং এবং কর্মক্ষেত্র ও ডিভাইসগুলো হালনাগাদ করার জন্য সিটি ব্যাংক তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য সু-প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়াগুলোকে চলমান রাখবে নিরাপত্তা এবং আধুনিক পরিষেবাগুলোর সাথে শক্তিশালী মাইক্রোসফট ক্লাউডের সুবিধাও গ্রহণ করতে পারবে।
এ নিয়ে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনেই এবং নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আফিফ মোহামেদ আলী বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি অফিস কার্যক্রমের ধরণ ও বৈশ্বিকভাবে উৎপাদনশীলতাতে পরিবর্তন নিয়ে আসছে, যা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিরাচরিত পদ্ধতি থেকে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে ও সমন্বিত সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরের পথকে সুগম করেছে। একইভাবে, বাংলাদেশে আমাদের ক্রেতা ও অংশীদারগণও পরিবর্তিত বিশ্বের এই ট্রেন্ডগুলোর সাথে নিজেদের তাল মিলিয়ে চলতে এই প্রবণতাগুলোকে অনুসরণ করছে। মাইক্রোসফট ৩৬৫ সল্যুশনের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করতে পেরে ও সিটি ব্যাংকের সাথে কাজ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অধিক কিছু অর্জনের জন্য দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ও সবার ক্ষমতায়নের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।’
টেক ওয়ান গ্লোবালের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার লার্স জেপপেসেন বলেন, ‘মাইক্রোসফট বাংলাদেশের গোল্ড- সার্টিফায়েড অংশীদার হিসেবে আমরা এ অঞ্চলে ডিজিটাল ও প্রযুক্তির রূপান্তরে নেতৃত্ব প্রদানে আমরা সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছি। নতুন স্বাভাবিকতায় সিটি ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি অর্জনে তাদের সাহায্য করতে পেরে আমরা সম্মানিতবোধ করছি।’