সিলেট সুপার স্টারস এর সহজ জয়
টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইল। তাকে দেখার প্রতীক্ষা ফুরাচ্ছিল না বিপিএল দর্শকদের।
শেষ পর্যন্ত দলে যোগ দিয়ে রবিবার গেইল খেললেন প্রথম ম্যাচ। দর্শকরা তাকে দেখল ঠিকই, সঙ্গে এখন পর্যন্ত তৃতীয় আসরের সবচেয়ে সফল দলের জঘন্য ব্যাটিং।
বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৫৮ রান করে গুটিয়ে গেছে মাহমুদুল্লাহর বরিশাল বুলস। গেইল করেছেন এক ছক্কায় আট বলে ৮ রান। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস আটে নেমে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়া পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ সামির, ১৬।
গেইলের দেশের ছেলে এবং এই আসরের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান এভিন লুইস করেছেন ১২ রান। এর বাইরে সবার রান যেন মোবাইলের ডিজিট।
অথচ ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় দল বরিশাল। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্টে শীর্ষে মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
রবিবার মিরপুরে গেইলরা যে দলটির বিরুদ্ধে এমন বিশ্রি খেলা উপহার দিল, সিলেট সুপার স্টারস পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। ছয় ম্যাচের ৫টিতে হেরে মুশফিকুর রহিমের দলের সংগ্রহ মাত্র দুই পয়েন্ট। আসর থেকেই তারা ছিটকে যাওয়ার পথে।
তারাই কিনা জ্বলে উঠল! অবশ্য এদিন অধিনায়কের আর্মব্যাচ মুশফিকুর তুলে দেন পাকিস্তানি বুমবুম শহিদ আফ্রিদির হাতে। এতেই বাজিমাত করল সিলেট।
বরিশাল বুলস ২৪ বল হাতে রেখে গুটিয়ে যায়। জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২ এবং সাব্বির রহমান করেন ৩ রান।
বল হাতে সিলেটের সবাই সফলতা পেয়েছেন। ইংল্যান্ডের রবি বোপারা ১২ রানে ৩টি নিয়ে সেরা। এর বাইরে শহিদ আফ্রিদি ৫ রানে, রুবেল হোসেন ৬, মোহাম্মদ শহীদ ২৩ রানে ২টি করে এবং সোহেল তানভীর ৯ রানে নেন এক উইকেট।
জবাবে মাত্র একটি উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে সিলেট সুপার স্টারস। ম্যাচসেরা জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৩৪ আর নুরুল হাসানের অপরাজিত ২৩ রানে ভর করে ৫২ বল থাকতে জয় পায় আফ্রিদিরা। দলীয় শূন্যরানে সামির বলে আউট হন দিলশান মুনাওয়েরা।