সুজানগরের মৎস্যজীবিরা ঝুঁকছে শুঁটকির ব্যবসায়
আর কে আকাশ, পাবনা, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পাবনার সুজানগরের মৎস্যজীবিরা ঝুঁকছে শুঁটকি মাছের ব্যবসায়। অল্প খরছে লাভ বেশি হওয়ায় মৎস্যজীবিদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও শুঁটকি মাছের ব্যবসায় নেমেছেন। গত ৫/৬ বছর আগে উপজেলার কতিপয় মৎস্যজীবি শুঁটিকি মাছের ব্যবসা করলেও বর্তমানে শতাধিক মৎস্যজীবি এবং সাধারণ মানুষ এই ব্যবসা করছে। বিশেষ করে শুঁটকির ভান্ডার হিসাবে খ্যাত সুজানগরসহ পাবনা তথা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুঁটকি মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় পেশাদার মৎস্যজীবি ও সাধারণ মানুষ ওই ব্যবসায় ঝুঁকে পড়েছে বলে জানা যায়।
প্রত্যেক বছর শীতের মৌসুম শুরু হতেই উপজেলার শুঁটকি ব্যবসায়ীরা তাদের বাড়ির পাশে কেউ বা আবার বিলের পাড়ে বিশাল বাঁশের চাতাল তৈরী করে হাজার হাজার মণ শুঁটকি মাছ প্রস্তুত করেন। তারা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলসহ আশপাশের বিল থেকে পুঁটি, টেংরা, বান, টাকি এবং চাঁদা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ কিনে ওই সকল চাতালে শুকিয়ে শুঁটকি করেন।
উপজেলার হাটখালী গ্রামের শুঁটকি ব্যবসায়ী শ্রী কোমল সরকার জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে শুঁটকির আড়তে সুজানগরের শুঁটকি মাছের চাহিদা বেশি। সেকারণে প্রত্যেক বছর প্রচুর পরিমানে শুঁটকি মাছ শুঁটকির আড়তে বিক্রি করা হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, মাছ কেনা এবং শ্রমিকসহ এক মণ পুঁটি শুঁটকি প্রস্তুত করতে খরচ হয় ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। আর বর্তমান বাজারে ১মণ পুঁটি শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে ৫থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায়। তারা আশা করছেন ভারতের বড় ব্যবসায়ীরা মাছ কেনা শুরু করলে বাজার বৃদ্ধি পাবে। এসময় তারা আরো বেশি করে লাভের মুখ দেখতে পাবেন।
শুঁটকি ব্যবসায়ী জিহাদ হোসেন জানান, সুজানগরের শুঁটকি মাছ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ায় দেশের বাইরে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছেনা। তারা শুঁটকি ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করতে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান জানান এই উপজেলার মৎস্যজীবিদের শুঁটকি মাছের উপর বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং তারা যাতে এই ব্যবসায় আরো বেশি করে সফলতা পেতে পারেন সে লক্ষে কাজ করে যাচেছ বর্তমান সরকার।