চিরিরবন্দরে উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক সুফিয়া আকতার বরখাস্ত
দিনাজপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের প্রায় ২ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা পরস্পরের যোগসাজসে আত্মসাত করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসের অফিস সহায়ক সুফিয়া আকতারকে (বর্তমানে হাকিমপুরে বদলি) বিভাগীয় মামলা ও সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা আপিল) বিধিমালা মোতাবেক চুড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম অফিস সহায়ক সুফিয়া আকতারকে চুড়ান্ত বরখাস্ত করেন।
নির্ভরযোগ্যসুত্রে জানা গেছে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (পরিচিতি নং-৫২৫৬) চিরিরবন্দরে যোগদান করার পর ২০১৫ সালের ১৬ আগষ্ট পর্যন্ত তার সময়কালে অত্র অফিসের অফিস সহায়ক সুফিয়া আক্তার (হাকিমপুরে বদলি) তার মনোযোগ আকর্ষণ করে ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আবু হান্নান মোঃ সাদেক এর সহযোগিতায় পরস্পর যোগসাজসে হাট-বাজার ইজারা তহবিল, উপজেলা রাজস্ব তহবিল, ভূমি হস্তান্তর কর, ১% ভ্যাট, হাট উন্নয়ন কর ও এল.আর খাতে প্রায় ২ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেন। আত্মসাতের বিষয়ে দিনাজপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন প্রয়োজনীয় তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পেয়ে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক বরাবরে ১৪৪ ফর্দের একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মতামত প্রদান করেন। উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে জেলা প্রশাসক অভিযুক্তদের সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং তৎকালীন চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ৩ মার্চ ২০১৬ ইং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফিরোজ মাহমুদ উপজেলা পরিষদের জরুরী সভা আহবান করে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্তের আলোকে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আফতাব উদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে দিনাজপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ ইমতিয়াজ হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অফিস সহায়ক সুফিয়া আকতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় জেলা প্রশাসন তাকে চুড়ান্তভাবে বরখাস্ত করে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সাবেক ইউএনও’র বিষয়টি জনপ্রশাসনের হাতে এবং একটি মামলা হওয়ায় বর্তমানে দুদকও তদন্ত করছে। গতকাল বুধবার বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গোলাম রব্বানীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সাবেক অফিস সহায়ক সুফিয়া আকতারের বরখাস্তের চিঠি পাওয়া গেছে। সে অত্র অফিসের কেউ নয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দুদক ইতিমধ্যে অফিসের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর দিলীপ কুমার রায়, নৈশ প্রহরী জগবন্ধু দত্তকে আটক করেছে। বর্তমানে তারা জেল হাজতে রয়েছে। একটি অসমর্থিত সুত্রে জানা গেছে, সুফিয়া আকতার ঢাকায় আত্মগোপনে রয়েছে।