সুবোধ এর পর নাবিলা
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
‘সুবোধ’ এর পর নাবিলা এখন বেশ আলোচনায়। ‘নাবিলা জানো’ শিরোনামে এই পোস্টার নগরবাসীর মধ্যে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। অবশ্য অনেকে মনে করেছেন গ্রাফিতি ‘সুবোধ’ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা সম্ভবত নতুন এই কৌশল অবলম্বন করছে।
এ পোস্টারে লেখা, ‘নাবিলা জানো? একজন মুমূর্ষ রোবটের জন্য রক্তের প্রয়োজন। রক্তের গ্রুপ (N+)।’ যদিও ‘এন পজেটিভ (N+)’ বলে বাস্তবে কোনো রক্তের গ্রুপ নেই। তবে এটা দিয়ে প্রতীকী কোনো কিছু বোঝানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঢাকার তেজগাঁও, সার্ক ফোয়ারা, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, সাইন্সল্যাবসহ বেশ কিছু এলাকার দেয়ালে সাঁটানো লাল রঙের পোস্টারে সাদা বর্ণে কথাগুলো লেখা।
পোস্টারটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে আবদুল্লাহ মাহফুজ অভি নামে একজন লিখেছেন- ‘শহরে এসেছে এক নতুন পাগল, ধরো তাকে ধরে ফেলো এখনই সময়। পাগল রাগ করে চলে যাবে ফিরেও আসবে না…। পাগল কষ্ট চেপে চলে যাবে ফিরেও আসবে না…।’ – সঞ্জীব চৌধুরী।
দ্বিতীয় প্যারায় তিনি লিখেছেন, ‘শহরে দেয়ালে পোস্টার পরেছে, নাবিলাকে কেউ ভালোবেসেছে।’
কবি মিছিল খন্দকার তার ওয়ালে পোস্টারের ছবি পোস্ট করে লিখেন- ‘এই পোস্টারে প্রশ্নের ছায়ায় যেন কাঠগড়ায় নাবিলা। যেন একজন মানুষ ক্রমে রোবটে রূপান্তরিত হয়েছেন, যিনি কিনা আবার মুমূর্ষু, যেন হৃদয়হীন রোবটের শরীরও আর সারভাইভ করতে পারছে না, তার এমন অবস্থার জন্য নাবিলার দায় আছে। তাহলে প্রশ্ন আসে, কে এই নাবিলা? আর এই মুমূর্ষু রোবটই বা কে? নামের মধ্য দিয়ে লিঙ্গ বিবেচনায় না নিয়ে বলা যেতে পারে, আমরা যে কেউ পরিস্থিতি ভেদে কখনও নাবিলা, কখনও আবার ওই মুমূর্ষু রোবট। তবে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রক্তদাতার ভূমিকায় আসবে কে?’
কে এই নাবিলা? কেন রোবটের জন্য তার কাছে রক্ত চাওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে কৌতূহলী অনেকেই। কিছুদিন আগে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, এখন সময় পক্ষে না’ শিরোনামে দেয়ালে গ্রাফিতি করা হয়। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়। ‘সুবোধ’ গ্রাফিতির কারিগরদের ধরতে চেষ্টাও চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।