সেলিনা জাহান প্রিয়ার কবিতা-সেই চিঠি আর আমি
সেই চিঠি আর আমি
———————সেলিনা জাহান প্রিয়া
ভালোবাসতাম আমি এক আমি কে —
এখনো ভালোবাসি সেই আমি কে !!
অবসরে ভাবনায় সে মনের গভীরে খেলে ,
অবসর আমি তার সাথেই বলি কথা ।
একদিন তুমি এলে অবকাশ পাওয়া যাবে
আমি এখন সেই আমি থেকে মুখ ফিরিয়ে !
অরণ্য তোমাকে অনেক বেশি হয়ত
ভালবাসি বা ভালবাসতে চাই …।
এখন আমি আমাকেই প্রশ্ন করি ?
অরণ্য কে আমি ভালোবাসি কি না ?
তোমার লিখা একটা কবিতার খাতা
আমি পেয়েছিলাম তোমার বুক স্লেফে
পুরোনো খাতায় তুমি কত করে লিখেছ
আমার জন্য তোমার ঘাস ফুল কবিতা ।
চিঠির ফাইল গুলো আমি বার বার পড়ি
অরণ্য লিখেছে আমার কাছে চিঠি
শুধু পড়া আর পড়া ছাড়া কিছুই না !!
কিন্তু আমি মনে মনে তোমাকে,
নিজের করে——-
শরৎ বাবুর সেই চিঠিওয়ালা ভেবেছি
বারো বা তেরো এক বছরে এই কয়টা চিঠি !
আমি বার বার , আমি থেকে ফিরে
তোমার হাতের চিঠিতে আমাকে খুঁজি ,
তোমার চিঠি সেই সাদা মাঠা কথা
তবুও অরণ্য আমি বার বার সেই গুলো পড়ি !
আমি আমার সাথে অন্য এক আমি কে বলি
আচ্ছা অরণ্য কি মনে করে আমার কথা
আমার মতো করে ।
অরণ্য কি জানে ? আমার চুল গুলো এখন ,
দখিনা বাতাসে অরণ্যের ছুঁয়া খুজে !!!
মনে হয় আমার কথা গুলো আমার আমিই জানে
আজ কাল আমার আমি আমার সাথে নেই
কারন সে জেনে গেছে আমি শুধু অরণ্যের
বন পলাশীর পদাবলী কাব্যের কবিতা ।।
কিন্তু তবুও —
আজকে হৃদয়ে নারীর প্রৌঢ় হৃদয়, তুমি
সেই সব ঈষৎ ব্যাকুলতা নারীর কল্পনা
হয়তো কখনো বৈতাল মরুভুমি,
হৃদয়, হৃদয় হবে জানা জানি ।।
আমি আর আমার আমি এক হয়ে
ছুটে বেড়াই অরণ্যের মরীচিকায়
সেখানে বালির সৎ নিরবতা ধূ ধূ
প্রেম নয় তবু প্রমেরই মতন শুধু
অমিতা অরণ্যকে ভালবাসি !
অবসর নাই সেই ভাবনায় শুধু কল্পনা
হয়ত যখন বন পলাশীর মেলা হবে
আমি তখন তার ভাবনায় সেই
শরৎ বাবুর চিঠির অপেক্ষা করব ।।
হেমন্তে ঘাসে নীল ফুল ফোঁটে —
হৃদয় কেন যে কাঁপে,
ভালোবাসতাম’ — স্মৃতি — অঙ্গার — মনে
সে-ও কি আমায় আমার মত একটু ভাবে
নায় সারাক্ষণ সে কেন আমার ভাবনায়
আমাকে আমার সাথে আমি হয়ে খেলে
মনে হয় সে আমায় ভালোবেসে ফেলেছিলো?
আজো ভালোবাসে আগের মতোই মনে হয়
সময়ের এই গতিতে মানুষ সময়ে বদলায়
শুধু বদলায় না তোমার হাতের চিঠি ।।