স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যা ॥ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের শাহীন শিক্ষা পরিবারের স্কুল শাখার ৯ম শ্রেণির ছাত্র ফোয়াদ (১৫) চারতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহত ফোয়াদ নেয়াখালী জেলার আলীপুর গ্রামের ইব্রাহিম তালুকদারের ছেলে।
জানাগেছে, ফোয়াদ শহরের আকুর টাকুর পাড়া জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদ রোডের শাহীন স্কুলের চারতলা বিশিষ্ট আবাসিকে থাকতেন। সোমবার(১৬ অক্টোবর) দুপুরে সবাই শাহীন স্কুলের ক্লাসে যাওয়ার জন্য রওনা হয়। ফোয়াদ আবাসিকের এক সহপাঠীকে বলেন, ‘আমাকে মাফ করে দিস’- এই বলেই চার তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে। স্থানীয় লোজন ও শাহীন স্কুলের শিক্ষকরা তাকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। পরে তার আত্মীয়-স্বজনদের খবর দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে সন্ধ্যা ৯টার দিকে ফোয়াদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাত ১০টার দিকে শাহীন শিক্ষা পরিবার কর্তৃপক্ষ মডেল থানায় গিয়ে বিষয়টির দফারফা করেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
স্কুলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা নাম প্রকাশ না করে জানান, শাহীন স্কুলের আবাসিকের প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন ও মানসিকভাবে অসহ্য চাপ দেওয়া হয়। সামান্যতম কারণেও শিক্ষকরা পিটুনি দেন- শিক্ষকদের ‘ফরমায়েজ’ না করলে আঘাত দিয়ে নানা রকম কথা বলেন। আবাসিক ভবনের চারতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে ফোয়াদের আত্মহত্যার নেপথ্যে শিক্ষকদের নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনই দায়ী।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের মোবাইল নাম্বারে সোমবার রাতে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য, শাহীন শিক্ষা পরিবারের নামে ইতোপূর্বে ছাত্রদেরকে বেধরক মারপিট, মানসিক ও রূঢ় ব্যবহার করারও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারমারির ঘটনা মারাত্নক বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শিক্ষকদের অত্যচারে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল ও কলেজ ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।